মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: শৈলশহরে (Darjeeling) যাওয়ার পরিকল্পনার সময় প্রথমেই যা চাহিদার তালিকায় শীর্ষে থাকে তা টয় ট্রেন (Toy Train)। দার্জিলিংয়ের এই 'জয় রাইড'টি করতে মুখিয়ে থাকে আট থেকে আশি। আর সেই টয় ট্রেন থেকেই এবার রেকর্ড আয় করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway)। 


দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এবং বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকদের এতটাই ভিড় সেখানে টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ৮৩.৯ কিলোমিটার। এই সাইটটি ভারতের অন্যতম পর্বত রেলপথ হিসাবে পরিচিত।  


হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এই বছরের মে মাসে ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, গত মাসে, ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে উঠেছিলেন। যা DHR চালু হওয়ার পর থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই সময়ে মাসে ৩.৫৭ কোটি টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করেছে।' সূত্রের খবর, এর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল গত বছরের মে মাসে যখন ২৬,৯০৯ জন যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। তখন, আয় ছিল ৩,১৯ কোটি টাকা। 


অন্যদিকে, লাভের মুখ দেখেছে বেঙ্গল সাফারি পার্কও। সেখানের এক আধিকারিক বলেন, 'আমরা চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) ৫.৬৫ কোটি রুপি আয় করেছি। পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের (২০২১-২২) আয়ের তুলনায় এটি একটি বিশাল বৃদ্ধি। আগের বছর আয় ছিল প্রায় ১.৭৬ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত, পার্কটিতে ২.৮৭ লক্ষ মানুষ এসেছেন। পার্কের ডিরেক্টর এও জানান, এখন প্রচণ্ড গরম থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ পার্কে আসছে। সপ্তাহান্তে ভিড়ও হচ্ছে খুব।' 


গত বছর থেকেই রাতের পাহাড়ে টয় ট্রেন চালু করা হয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। দার্জিলিং স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত যাতায়াত করছে ট্রেনটি। ১২ নভেম্বর পাহাড়ে শুরু হয়েছিল ঘুম উৎসব। ১২ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালানো হয়েছিল টয় ট্রেন। ভাড়াও সাধারণ জয় রাইডের মতো। মাঝেমধ্যেই টয় ট্রেন লাইনে বিপত্তি ঘটে। ফলে রাতের অন্ধকারে টয় ট্রেন চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করছে অনেকে।


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'