সনৎ ঝা, দার্জিলিং: শিলিগুড়ির কাওয়াখালি উপনগরীর অনিচ্ছুক জমিদাতারা উত্তরকন্যা অভিযান করেন। মিছিল শুরু হতেই আটকায় পুলিশ। মিছিল আটকাতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মাঝপথেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বাম-তৃণমূল তরজা।
শিলিগুড়ির কাওয়াখালি উপনগরীর জন্য বাম জমানায় জমি নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল জমানায় আগে অধিগ্রহণ করা জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সোমবার শিলিগুড়িতে পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটির উত্তরকন্যা অভিযান শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযোগ, শিলিগুড়ির কাওয়াখালি উপনগরী তৈরির জন্য জমি দিয়েও মেলেনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। এই অভিযোগ তুলে বাম শ্রমিক সংগঠন CITU-র নেতৃত্বে সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানে নামেন অনিচ্ছুক জমিদাতারা। উত্তরকন্যার আগেই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কের ওপর পুলিশ মিছিল আটকালে ছড়ায় উত্তেজনা।
অভিযোগ কী:
২০০৪ সালে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি উপনগরীর জন্য ২৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। পরে ক্ষমতা বদল হয়। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ৫২ জন অনিচ্ছুক কৃষককে জমি ফিরিয়ে দেয়। এবার একই রকমভাবে ফের জমি ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে সামিল হলেন আরও কিছু অনিচ্ছুক জমিদাতা।
অনিচ্ছুক কৃষক কার্তিক মল্লিক বলেন, 'আমরা জমির ক্ষতিপূরণ নিইনি। জমির দাম পর্যাপ্ত ছিল না। ২০ হাজার টাকা কাঠায় জমি নিয়ে এখন ২৫ লক্ষ টাকা কাঠায় বিক্রি করছে। জমি ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমৃত্যু লড়াই চলবে।'
এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে সিপিএম ও তৃণমূলের তরজা। শিলিগুড়ির সিটু নেতা গৌতম ঘোষ বলেন, 'জমি অধিগ্রহণের পর কাজ করার ছিল হিডকোর। তার বদলে জমি দেওয়া হয়েছে হর্ষবর্ধন নেওটিয়াকে। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরানো হোক। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, 'এরাই কৃষকদের থেকে জমি নিয়েছিল। এখন সেখানে এরাই আবার অন্য কথা বলছে। রাজ্য সরকার সমস্ত অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিয়েছে।' দ্রুত জমি ফেরানো না হলে ফের বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনিচ্ছুক জমিদাতারা।
আরও পড়ুন: ফল বেরনোর ২ মাস পরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ বোর্ড, আদালতে বিজেপি