তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ফসলের জমি দেখতে গিয়ে বিপত্তি। বেআইনি বিদ্যুৎবাহী তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted Death) হয়ে মৃত্যু যুবকের। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। জমির আলে থাকা বেআইনি বিদ্যুৎবাহী তারের বেড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের। পরে ওই যুবকের মৃতদেহ (Dead Body) লোপাটের চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর থানার (Bishnupur Police Station) ভিমারডাঙ্গা গ্রামে। ঘটনায় গ্রেফতার জমির মালিক সহ দুই।


বেআইনি বিদ্যুৎবাহী তারে মৃত্যু যুবকের: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার (Bishnupur Police Station) ভিমারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা অলোক ঘোষ। গ্রামের অদূরে ফসল  দেখতে যান তিনি। এরপরই নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবক। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। এরপরই ওই যুবকের খোঁজ শুরু করেন গ্রামের লোকজন। জমির আলে অলোক ঘোষের পায়ের জুতো ও তাঁর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই জমির আলে বিদ্যুতবাহী তারের বেড়া দেওয়া ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর বিদ্যুতবাহী তার দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ দানা বাঁধে। পাশাপাশি স্থানীয়দের নজরে আসে জমির আল থেকে কোনও কিছু টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে প্রায় দু কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ সরব হয়েছেন তাঁরা।


যুবকের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়: স্থানীয় সূত্রে খবর, গাছের ডাল, মাটি ও শুকনো পাতা দিয়ে কিছু ঢাকা দেওয়া ছিল। মাটি ও শুকনো পাতা সরাতেই অলোক ঘোষের মৃতদেহ চোখে পড়ে স্থানীয়দের। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানার (Bishnupur Police Station) পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি সরিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Postmortem) জন্য পাঠায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির আলে বেআইনি ভাবে দেওয়া বিদ্যুৎবাহী তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট (Electrocuted Death) হয়ে মৃত্যু হয় অলোক ঘোষের। তাঁদের দাবি, পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই জমির মালিক মৃতদেহটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পুঁতে ফেলে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই জমির মালিক স্থানীয় মড়ার গ্রামের বাসিন্দা সাকির আলি খান ও তাঁর কাকা সিরাজউদ্দিন খানকে গ্রেফতার করেছে।


আরও পড়ুন: Murshidabad News: আত্মহত্যা না খুন? ছাদ থেকে উদ্ধার ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ