কলকাতা: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন, ভ্য়াকসিনকাণ্ডে ধৃত, ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb)। চার্জশিটে চাঞ্চল্য়কর দাবি করল ইডি (ED)। ভাইকে নবান্নের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলতেন দেবাঞ্জন। শুধু তাই নয়, ইনস্য়ুরেন্স পলিসি, ফুড কোম্পানি, ট্রাভেল এজেন্সির নামেই প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিলেন তিনি, দাবি ইডি সূত্রে।                                        


চার্জশিটে চাঞ্চল্য়কর দাবি করল ইডি: হয়তো অনেকেরই মনে নেই তাঁকে। কিন্তু, মাত্র ২ বছর আগে, করোনা কালে, খোদ কলকাতার বুকে ভুয়ো কোভিড ভ্য়াকসিনেশন ক্য়াম্প খুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সেই ক্য়াম্প থেকে ভ্য়াকসিন নেন খোদ যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও।

দেবাঞ্জন দেব, IAS- অফিসারের মিথ্য়ে পরিচয় দিয়ে, প্রতারণার জাল বুনেছিলেন যিনি। ভ্য়াকসিনকাণ্ডে ধৃত সেই দেবাঞ্জন ও তাঁর ভাই কাঞ্চন দেবের বিরুদ্ধে এবার চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করল ED।  চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করেছেন তাঁরা!বাজার থেকে ৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, ২ বছর আগেই, ভাই কাঞ্চনকে নবান্নর এক উচ্চপদস্থ অফিসার পরিচয় দিয়ে চাকরির নামে টাকা তুলতেন দেবাঞ্জন। কাঞ্চন দেবাঞ্জনের আন্ডারেই কাজ করতেন। ভাই টাকা কালেকশন করে আনত। আর তা জমা পড়ত দাদার অ্য়াকাউন্টে।

৫৫ পাতার চার্জশিটে ed-র দাবি, শুধু ভুয়ো IAS-ই নয়, নিজেকে জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার (Joint Municipal Commissioner) পরিচয় দিতেন দেবাঞ্জন। তাঁর অফিস থেকে মিলেছে এই সংক্রান্ত প্রচুর ডকুমেন্ট, সিল, স্ট্য়াম্প। শুধু চাকরি দেওয়ার নামেই নয়, কখনও ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ বানিয়ে টাকা হাতিয়েছেন, কখনও আবার কন্ট্রাক্টরেদের থেকে মালপত্র নিয়ে টাকা দেননি। এছাড়া ইনস্য়ুরেন্স পলিসি, ও ট্রাভেল এজেন্সির নামেও দেবাঞ্জন প্রতারণা করেছেন বলে দাবি করেছে ED। ED-র দাবি, দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে অনেক ভুয়ো ভ্য়াকসিন। সেগুলো বিক্রিও করেছেন দেবাঞ্জন।  এছাড়া উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আর্থিক লেনদেনের নথি। ইডি সূত্রে দাবি, এই বিপুল পরিমান টাকা কোথা থেকে এল, তা খোলসা করেননি দেবাঞ্জন।


আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: 'দুর্নীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি', CBI তদন্ত নিয়ে ফের অসন্তোষ