ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) নেফ্রোলজি বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের। ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গেছে নির্দেশনামা। চিকিৎসক না থাকায় আজ বন্ধ থাকার কথা ছিল নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোর। কিন্তু রোগীদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়ে চালানো হচ্ছে বহির্বিভাগ। নতুন চিকিৎসক না আসা পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোরে সমস্যা: দুয়ারে পিজি কর্মসূচি চালুর দিনই, কলকাতা মেডিক্যালে চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোর। সমস্যায় পড়েন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। বুধবারই জেলায় শুরু হয়েছে দুয়ারে পিজি কর্মসূচি। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে গিয়েছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। আর সেই দিনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোর বন্ধ থাকল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গড়ে শ’ তিনেক রোগী আসেন নেফ্রোলজির আউটডোরে। আগাম খবর না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েন তাঁরা। শেষে মেডিসিন বিভাগের ৪ জন চিকিৎসককে পাঠিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়।
জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ: নেফ্রোলজি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। সেই জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। SSKM হাসপাতাল এবং NRS মেডিক্যাল কলেজ থেকে দুজন বিশেষজ্ঞকে দ্রুত মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) নেফ্রোলজি বিভাগে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকরা এলেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এর আগে জানানো হয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোরে টিকিট কাটা হবে না। তা নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা। প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষের তরফে মেডিসিন বিভাগের ৪ জন চিকিৎসকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। কর্তৃপক্ষের আশা, দুই চিকিৎস এলেই পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: West Burdwan: অন্ডালে ইসিএলের কয়লা খনি অঞ্চলে ফিরল ধসের আতঙ্ক