মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ডাল: অন্ডালে ইসিএলের কয়লা খনি অঞ্চলে ফিরল ধসের ( Andal Landslide ) আতঙ্ক। গতকাল অন্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোড়াপাড়ায় পরিত্যক্ত খনির কাছেই ধস নামে। গতকাল খনি থেকে জল বের করার জন্য পাম্প চালাতেই বিপত্তি, এই অভিযোগ তুলে আজ সকালে অস্থায়ী পাম্প হাউসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে বন্ধ হয়ে যায় ওই কয়লা খনি। ইসিএল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                   


ফিরল ধসের আতঙ্ক: আচমকা বড়সড় ধস, বিশাল এক গর্ত, তার চারপাশে ফাটল গ্রামবাসীদের দাবি এই গর্ত থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। বুধবার সকালে, পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোয়াপাড়ায় পরিত্য়ক্ত একটি কয়লা খনির কাছে ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় ওই কয়লা খনি।                                                   


কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?


সম্প্রতি এই কয়লাখনি থেকে পাম্পের মাধ্য়মে জল বের করছিল ECL। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই পাম্পের জন্য়ই এলাকায় ধস নেমেছে। পাম্প হাইজে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা। ওই এলাকার বাসিন্দা সীমান্ত কোড়া, “বড় গাড্ডা হয়েছে। ম্য়ানেজমেন্টকে ফোন করি। খুব আতঙ্কে। আমরা চাই পাম্পটা বন্ধ হোক।’’ আরেক বাসিন্দা তপন কোড়ার কথায়, “আমরা বন্ধ করতে চাই। এটা আতঙ্ক হয়ে যাচ্ছে।’’                                                  

মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা:  কখনও আসানসোল, কখনও রানিগঞ্জ পশ্চিম বর্ধমানের কোলিয়ারি এলাকায় মাঝেমধ্যেই ধস নামে। তবে, বারংবার এই ধস কোনও অশনি সঙ্কেত নয়ত। জোশীমঠের মতো অবস্থা হবে না তো? সম্প্রতি এমন আশঙ্কাপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে।’’ এরইমাঝে অন্ডালে ফের ধস নামল। যদিও এই ধস নিয়ে এখনও পর্যন্ত  মুখ খোলেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: পার্থ-মানিক যুগলবন্দিতে বিপুল টাকা আত্মসাৎ? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাবি ইডির