সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে বেনজির বিশৃঙ্খলার আঁচ পৌঁছল দিল্লিতেও। আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। রাজ্যে আসছে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। প্রতিনিধি দলে থাকছেন রবীন্দ্র রায়জাদা, অশোক মেহতা এবং বন্দন কউর গ্রোভার। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট পেশ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।


কলকাতা হাইকোর্টে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বেনজির বিশৃঙ্খলার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কলকাতায় আসবেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ৩ জন সদস্য। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার যে তিনজন প্রতিনিধি আসছেন, তাঁরা হলেন রবীন্দ্র রায়জাদা, অশোক মেহতা এবং বন্দন কউর গ্রোভার


সূত্রের খবর, ঘটনার বিষয়ে জানতে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদক ও কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন, বার কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। সংগ্রহ করবেন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য ফুটেজ। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট পেশ করবে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। 


বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মনন মিশ্রর কথায়, শুধু বিচারপতির এজলাস বয়কট করাই নয়, স্লোগান তোলা, পোস্টার দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে, যা অনভিপ্রেত। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা আইনজীবী হওয়ারই যোগ্য নন। তাঁদের ওকালতি করতে দেওয়াই উচিত নয়। তাই বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে, এই কমিটি ফের বৈঠকে বসবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


গত সোমবার, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। দরজা বন্ধ রেখে অন্যান্য আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও কর্মীদের ঢুকতে দেওযা হয়নি বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায়, হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের আড়াআড়ি বিভাজন প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ চিঠি দেন বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানকে।


চিঠিতে বিক্ষোভকারীদের তৃণমূলপন্থী আইনজীবী বলে অভিযোগ তুলে, পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ করারও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ পেয়েই, কলকাতায় প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।