হিন্দোল দে,কলকাতা: দিল্লির (Delhi) ব্যবসায়ীকে (businessman) ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে অপহরণ (kidnapping) করে এনে মাদুরদহে (madurdaha) আটকে রাখার অভিযোগে তোলপাড় মহানগর (kolkata)। সূত্রের খবর, অপহরণকারীদের ডেরা থেকেই কোনও ভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের (CP)ফোন নম্বর জোগাড় করে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান ওই ব্যবসায়ী। তাঁর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার (rescue) করে আনন্দপুর থানার (Anandapur) পুলিশ। এর মধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে।


কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর,দিন পনেরো আগে ব্যবসার কাজে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সম্ভবত পাইপলাইনের কাজের বরাত পেয়ে মহানগরে এসেছিলেন তিনি। কাজ ছিল নিউ টাউন এলাকায়। অভিযোগ,ব্যবসায়িক বিবাদ দেখা দিলে তিনি দিল্লি ফিরেও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি। ৬ দিন আগে হঠাৎ ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করে ৪ জন। প্রথমে হোটেল ও পরে আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের একটি স্টোর রুমে আটকে রাখা হয় তাঁকে। গত কাল কোনও ক্রমে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নম্বর জোগাড় করে উদ্ধারের আর্জি জানান ওই ব্যবসায়ী। এর পরই লালবাজারের তরফে আনন্দপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। অপহৃতের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর কাছে পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত ৩ জনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। তবে যার নির্দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল সেই মূল এখনও পলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। আপাতত যা ধারণা, তাতে ব্যবসায় টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অশান্তি নিয়েই অপহরণ বলে মনে করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, দিনদুয়েক আগেই হাওড়ায় এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে তাঁর পালিত পুত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


হাওড়ায় নিহত ব্যবসায়ী...
পুলিশ জানিয়েছিল, চাঁদনি মার্কেটের ব্যবসায়ী শেখ তৈয়ব আলি গত শুক্রবার ৯টা নাগাদ শিবপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি তখন সবে শেখ তৈয়বের বাড়িতে ঢুকেছে। তাঁর হাতে গাড়ির চাবিও তুলে দিয়ে গিয়েছেন গাড়িচালক। এমন সময়ই পিছন দিক থেকে তাঁর মাথার চপার দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। হামলার কথা জানতে পেরেই দ্রুত ছুটে আসেন ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকজন ও পাড়াপ্রতিবেশি। দ্রুত খবর যায় শিবপুর থানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। দক্ষিণ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ তৈয়ব আলিকে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ব্যবসায়ীর মৃত্য়ুর খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা ও শিবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়,ব্যবসায়ী বাড়িতে ঢোকার আগেই আততায়ী ওঁৎ পেতে ছিল। হামলাকারী এক জন নাকি একাধিক সেটা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। ১০ ঘণ্টার মধ্য়েই তদন্তকারীরা জানান, সম্পত্তি ও টাকার লোভে সুপারি কিলার লাগিয়ে শেখ তৈয়বকে খুনের অভিযোগে তাঁর পালিত পুত্র-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন:একটা পা বাইরে, আরেকটা পা আমি জেলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আছি, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য উদয়নের