নয়াদিল্লি: বকেয়ার দাবিতে তৃণমূলের দিল্লিতে সমাবেশে 'না' পুলিশের। ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবিতে ২ অক্টোবর দিল্লিতে সমাবেশ তৃণমূলের। সূত্রের খবর, রামলীলা ময়দানে তৃণমূলের সমাবেশের অনুমতি দিল না দিল্লি পুলিশ। মূলত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিল্লিতে সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার, ২ অক্টোবর মহাত্মা গাঁধী জন্মজয়ন্তীর দিনে, তৃণমূলের সেই সমাবেশের অনুমতি দিল না অমিত শাহের পুলিশ।
তৃণমূলের সেই সমাবেশের অনুমতি দিল 'না' দিল্লি পুলিশ
একুশের মঞ্চ থেকে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, '২ বছর ধরে বন্ধ একশো দিনের কাজের টাকা। সাত থেকে আট থেকে হাজার কোটি টাকা বাকি। জব কার্ড হোল্ডারদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এই একশো দিনের কাজের টাকার উপর। তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে এই বিজেপি সরকার। একশো দিনের আন্দোলন আগামী দিনে দিল্লির বুকে হবে। কৃষিভবনের বাইরে হবে। কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়ব। গাঁধী জয়ন্তীতে ২ অক্টোবর দিল্লির চলোর ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস।'
এবার একই ছবিই কি ফিরল দিল্লিতে ?
প্রসঙ্গত, প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও পশ্চিমবঙ্গের বুকে একাধিকবার নানা ইস্যুতে, বিজেপির সভায় প্রথমে অনুমতি মেলেনি পুলিশের। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই দিনে তৃণমূল ও বিজেপির পৃথক সময়ে শর্ত সাপেক্ষা সভা করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের সভা ঘিরেও কম জল গড়ায়নি। কখনও হাওড়া, কখনও উত্তর কলকাতায় সভা করা নিয়েও বিস্তর বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আর এবার একই ছবিই কি ফিরল দিল্লিতে ?
আরও পড়ুন, 'কেউই সুরক্ষিত নন..', জোড়া ডাকাতির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
মোদির পাল্টা মমতা
বছর পেরোলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে ইতিমধ্য়েই দেশের বিরোধী জোট INDIA এর তরফে একাধিকবার, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত সম্প্রতি বিরোধী জোট INDIA-কে নিশানা করে সম্প্রতি 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে'র প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মোদি। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, 'আজ ভারত একসঙ্গে বলছে, দুর্নীতি ভারত ছাড়ো। পরিবারবাদ ভারত ছাড়ো। তোষণ ভারত ছাড়ো।' যদিও এর পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি মমতা। তিনি বলেছিলেন, 'আজ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নামে শপথ নিয়ে বলছি, বিজেপি তুমি দিল্লির গদি ছাড়ো। বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো। তোমার দিল্লির মসনদে থাকার অধিকার নেই।'