অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : ফের হাতির মৃত্যু (Elephant Death) ! আবারও সেই ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। তবে, যেভাবে একদিকে বরবটি খেত আর একপাশে ধানজমির মাঝে মাঝবয়সি মাদি হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে তাতে হাতির মৃত্যুর কারণ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে। কী করে হাতিটির মৃত্যু হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বাদরভোলা বিটের জোয়াল ভাঙা গ্রামে সবজি খেতের পাশে সকালে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে লোক জড়ো হয়ে যায়। মৃতদেহ ঘিরে শুরু হয় পুজোও। তবে বিষঃক্রিয়া না বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ময়না তদন্ত করা হবে হাতিটির, এমনই জানিয়েছে বন দফতর। 


গত কয়েক দিন ধরেই ৩০/৪০ টি হাতি এই এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছে। ফসলের ক্ষতি করছে। গতকাল রাতেও একদল হাতি ছিল। তার মধ্যে মাঝবয়সি এই হাতির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।


আগেও হাতির মৃত্যু-


গত বছর অক্টোবর মাসে হাতির মৃত্যু ঘিরে হইচই পড়ে যায় নয়াগ্রামে। ধানজমিতে তার বিশালাকার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী। খবর জানতে পেরে দ্রুত পৌঁছয় বন দফতরের টিম। 


ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের তিন নম্বর বড়খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায় পূর্ণবয়স্ক ওই হাতিটির মৃত্যু হয়। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকায় চাষের জমিতে হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তাঁরাই বিষয়টি ফোন করে বন দফতরকে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের আধিকারিকরা। হাতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। 


প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে হাতির তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ির ক্ষতি নতুন নয়। ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তা সত্ত্বেও সেখানকার মানুষ হাতিকে দেবতা হিসেবে পুজো করে। স্বাভাবিকভাবেই হাতির মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়ে যায় নয়াগ্রাম ব্লকের বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল সংলগ্ন রঘুনাথপুর এলাকায়।


গত বছর মার্চে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্ৰামের কৃষি জমি লাগোয়া এলাকায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। জানা যায়, সকালে নয়াগ্ৰামের মলম ৪ নম্বর অঞ্চলের কপ্তিভোল গ্রামের কৃষি জমি লাগোয়া জায়গায় একটি পূর্ণ বয়স্ক দাঁতালের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ঘটনার খবর বন দফতরে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে উদ্ধার করার জন্য তোড়জোড় করেন। তবে সে বারও হাতিটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে কিছু জানতে পারেননি বন দফতরের কর্মীরা।