কলকাতা: দিল্লির বঙ্গ ভবনের (Banga Bhawan) নিরাপত্তায় এবার রাজ্য পুলিশ। বঙ্গ ভবনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখবে রাজ্য পুলিশ। বঙ্গ ভবনে বিনা অনুমতিতে ঢুকে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশের পরই বঙ্গ ভবনে রাজ্য পুলিশ (State Police) পাঠানোর সিদ্ধান্ত। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে রাজ্য পুলিশ: সূত্র।
দিল্লির বঙ্গভবনে বিজেপি শাসিত গুজরাতের পুলিশের হানা। সঙ্গে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের যাওয়া নিয়ে তপ্ত বঙ্গ-রাজনীতি। যাকে কেন্দ্র করে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের, একবার সামনে এসেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংঘাত। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৯শে ডিসেম্বর, দিল্লির চাণক্যপুরীর নিউ বঙ্গভবনে দিল্লি ও গুজরাত পুলিশ কোনও কিছু না জানিয়ে, আচমকা অভিযান চালায়। দিল্লি ও গুজরাত পুলিশের টিম তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে তাঁর ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে, বঙ্গভবনের সার্ভার রুমে ঢুকে নিয়ে চলে যায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের হার্ডডিস্কও। গোটা ঘটনায় গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য প্রশাসন। ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিরাপত্তায় এবার রাজ্য পুলিশ: প্রশাসন সূত্রে দাবি, অভিযানের দিন দিল্লি বা গুজরাত পুলিশ কোনও সিজার লিস্ট দেয়নি। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর, দিল্লি পুলিশের মাধ্য়মে বঙ্গভবনে সিজারলিস্ট পাঠায় গুজরাত পুলিশ। এনিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বেআইনিভাবে গুজরাত পুলিশ, দিল্লি পুলিশকে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে গেছে। কারা কার সঙ্গে কথা বলছে বন্ধুর সঙ্গে, সবটাই তুলে নিয়ে গেছে। এই অহংকার কে দিল? আমি বুলডোজারের পক্ষে নই।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশের পরই বঙ্গ ভবনে রাজ্য পুলিশকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।