কলকাতা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) অবৈধভাবে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন। অতি শীঘ্র ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। এই মর্মে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Viswabharati University) নোটিস ঘিরে শুরু হয়েছে জোরাল বিতর্ক। এই নোটিস ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিও। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করার কারণেই নিশানা করা হচ্ছে অমর্ত্য সেনকে। তৃণমূল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে আছে। পাল্টা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এই ধরনের অভিযোগ উঠলে নিজের থেকেই প্রকাশ্যে আনা উচিত। 


নোটিস ঘিরে শুরু বিতর্ক: বাংলার গর্ব, সারা বিশ্বে সমাদৃত। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। তাঁর নামও রেখেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই শান্তিনিকেতনেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বাড়ি ঘিরে আবার ঘনাল বিতর্কের মেঘ। তাও আবার তিনি এখানে থাকাকালীনই। জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।


শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম প্রতীচী। মঙ্গলবার অধ্যাপক সেনকে নোটিস দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে আছেন। এই জমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিন। আপনি যদি চান বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনার সার্ভেয়ার বা আইনজীবীর উপস্থিতিতে যৌথভাবে জমির জরিপ করা হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ভবিষ্যতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ যাতে সমস্যার মুখে না পড়েন, সেই তাগিদ থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই নোটিস পাওয়ার পর এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ  প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, “আমার বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতী থেকে লিজ নেওয়া। বাকি অংশ কেনা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য বানানো, মিথ্যে কথা। ওদের রুচিতে এমনটাই মানায়। আগেও এমন মিথ্যে কথা বলেছে। আমার আইনজীবী তার জবাব দিয়েছেন। এবারও আইনজীবী জবাব দেবেন।’’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, ১৯৪৩ সালে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিমেল জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে, সেই লিজ জমি তাঁর নামে হস্তান্তর করা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, রেকর্ড ও সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেনের লিজ পাওয়া জমির মধ্যে থেকে গেছে। বছর দুয়েক আগেও অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল।যার প্রতিবাদে সেইসময় কলকাতায় মিছিল করেছিলেন বিদ্বজনেদের একাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন: Kolkata Fire: কলকাতার বাজারে অগ্নিকাণ্ড, সরস্বতী পুজোর আগে পুড়ে ছাই ৫৫টি দোকান