কলকাতা: প্ল্যাটফর্মের থামে ফাটল, বসে যাচ্ছে স্টেশন। পুনর্নির্মাণের জন্য প্রায় এক বছর বন্ধ থাকবে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে স্টেশন ভেঙে ফেলার কাজ। আজও সেই কাজ চলছে। খুলে ফেলা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মের ওপরের ছাউনি।
২৮ জুলাই থেকেই নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রো চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১৫ বছরেই জরাজীর্ণ অবস্থা। আপাতাত বন্ধই থাকবে ব্লু লাইনে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন। মেট্রো স্টেশনের থামে ফাটল, বসে যাচ্ছে একের পর এক পিলার। বসে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মও। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেঙে ফেলা হবে পুরো মেট্রো স্টেশন। ব্লু লাইনে নিউ গড়িয়ার আগের স্টেশন ব্রিজি স্টেশন পর্যন্ত চলছে আপ ও ডাউন মেট্রো। সূত্রের খবর, পুননির্মাণের জন্য প্রায় এক বছর ব্লু লাইনে সুভাষ মেট্রো স্টেশনে পরিষেবা বন্ধ থাকবে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে স্টেশন ভেঙে ফেলার কাজ। খুলে ফেলা হচ্ছে শেড। এদিন সকাল থেকে স্টেশন পুননির্মাণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।
২০১০ সালে মহালয়ার দিন চালু হয়েছিল ব্লু লাইনে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। এই আবহে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো রেলের দাবি করেছিলাম। টাকা আদায় করেছিল রাজ্য সরকার থেকে। কিন্তু কাজ করেছিল দিল্লির রেল। ওখানেও এমন টাকা মেরেছেন যে ১৫ বছরের মধ্যে স্টেশনটা নষ্ট হয়ে গেল! এত টাকা মেরেছেন?" পাল্টা তৃণমূল নেতা কৃশানু মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করছে যে নিউগড়িয়া মেট্রো পিলারে ফাটল ধরেছে কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কাট-মানি খাওয়া হয়েছে। ঘটনা হল, 1999 সালে এই প্রকল্পের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট ঘোষণা করেন। কাজ শুরুর পরেই উনি রেল মন্ত্রক ছেড়ে দেন। যেখানে ফাটল ধরেছে সেটা বানানো হয় 2005-2007 সালে, যখন রাজ্যে বাম ও কেন্দ্রে বাম সমর্থিত UPA1 সরকার ছিল। 2004-09 সালে কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন সিপিএম সমর্থিত লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর আমলেই এই অংশের মূল নির্মাণটা হয়েছিল। 2009 থেকে 2011 দেড় বছরে দিদি দায়ী হয় কী করে? এরা এত মিথ্যে বলে কেন?''