সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়াল। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলেই আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯৭ জন। বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৩। গ্রামীণ এলাকার মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৩৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমডাঙা ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। অন্যদিকে, তা লাফিয়ে বাড়ছে বনগাঁ ব্লকে। এই মুহূর্তে ৩০৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ডেঙ্গি মোকাবিলায় গোটা উত্তর ২৪ পরগনায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
এর আগে চিকিৎসার গাফিলতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীদের। মঙ্গলবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আমডাঙার রফিপুরের বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। সেখান থেকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় জহিরুলের। এরপরই ফের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে দেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বিডিও। আধঘণ্টা পর ওঠে বিক্ষোভ।
রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি-দাপট
রাজ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। মৃতের নাম ববিতা রায়। বয়স ৩৫ বছর। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের, ক্ষুদিরাম সরণীর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ, দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুর ৩টেয় সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে NS1 পজিটিভ লেখা আছে।
অন্যদিকে, নিউ আলিপুরের বাসিন্দা, ডেঙ্গি আক্রান্ত কিশোরের মৃত্যুতে এবার হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৃতের বাবা। তাঁর আক্ষেপ, যথাসময়ে নজর দিলে তাঁর ছেলের এই পরিণতি হত না। এলাকায় সেনার ক্যাম্পে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সেনার ক্যাম্পাসগুলিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য, বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভায় সেনার কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এখনও রাজ্যে শেষ হয়নি বর্ষার ইনিংস। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশের।
আরও পড়ুন, বাঁকুড়ায় খাবারে বিষক্রিয়ায় মৃত ১, অসুস্থ একই পরিবারের আরও ৩