পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া যে কতটা জরুরি, সে তো আপনারা জানেনই। চুলের সমস্যা বলুন, বা ত্বকের কিংবা পাচনতন্ত্রের, সবকিছু পারফেক্ট রাখতে সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। “Do your squats, drink your water.”  -  শরীর সুস্থ  রাখতে এই টিপস দিয়ে থাকেন অনেকেই।  তাই দিনের শুরুটা এক গ্লাস জল ঢকঢক করে খেয়ে শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যেস কি আদৌ ভাল ? ব্রাশ না করে জল খাওয়া বা বিছানায় শুয়ে চা কতটা উপকারী বা অপকারী? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এই অভ্যেসের বেশ কিছু ভাল দিক তুলে ধরেছেন। 


 চিকিৎসকদের অনেকেই মনে করেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল খেতেই হবে। আর এই কথা মাথায় রেখে অনেকেই দিনের শুরুটা করেন ব্রাশ করার আগে বাসি মুখে জল খেয়ে। অনেকে আবার জলের বদলে খান চা।  তবে এতে আদৌ কোনও উপকার হয় কি?


ব্রাশ করার আগে জল খাওয়ার উপকারিতা : 
অনেকে মনে করেন : 


হজম ভাল হয় : 


আপনি যদি ব্রাশ করার আগে বাসি মুখের জল খান, তবে হজম শক্তি ভাল থাকবে।  ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল আলস্য অনেকটা দূর করে। এছাড়াও ব্রণর মতো ত্বকের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে বেশি করে জয় খাওয়া। বদহজমের সমস্যা থাকলে অনেকটা কমে যায় খালি পেটে জল খেলে। অনেকেই মনে করেন, শরীরে জমে থাকা টক্সিন অনেকটাই দূর হয় বাসি মুখে এক গ্লাস জল খেলে। 









আমরা ঘুমের সময় অর্থাৎ ৭-৮ ঘণ্টা সময় জল খাই না। তাই এরকম পরিস্থিতিতে, সকাল-সকাল উঠেই জল খেতে হবে। তাতে শরীরে জলের চাহিদা মেটে। 


মুখে ব্যাকটেরিয়া জমা হয় না 


মুখের মধ্যে নানারকম জীবাণু জমে থাকে । বাসি মুখের জল খেলে মুখ জীবাণুমুক্ত হয়।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


বাসি মুখে জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বারবার সর্দি বা কাশি হয় না এই অভ্যেস রপ্ত করে ফেলতে পারলে।  তাছাড়া চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই অভ্যেসের উপকারিতা আছে। 


সকালে বাসি মুখে জল খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের মতো রোগের আশঙ্কা কমে পরোক্ষ ভাবে। এছাড়া সকালে খালি পেটে অনেকটা জল খেলে মোটা হওয়ার মতো সমস্যা এড়ানো যায়।  যদি  কেউ ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই বাসি মুখে জল খান। 


নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ নেই


সকালে ঘুম থেকে উঠলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে জল খেয়ে নিলে সেই সমস্যারো সমাধান হতে পারে।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।