সন্দীপ সরকার, কলকাতা: জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগে রোগভোগ লেগেই রয়েছে। সেই আবহেই ডেঙ্গি নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর মিলল। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের তুলনায়, দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমল প্রায় দেড় হাজার। তবে যে হারে সংক্রমণের পরীক্ষা হয়ে চলেছে, তাতে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। (Dengue Situation)


দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯


শীত আসার আগে রাজ্যে সামান্য কমল ডেঙ্গির দাপট। তবে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৩ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯৫। যেখানে চলতি বছরে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ হাজার। (WB Dengue Situation)


তবে সংখ্য়ার নিরিখে পরিস্থিতির সামান্য কিছুটা উন্নতি হলেও, ডেঙ্গির প্রকোপ কমেছে, তা এখনই বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, "কমল তখনই বলতে পারব, জুন মাসের মতো যদি বেস লাইনে চলে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে তখনই মন্তব্য করতে পারব।" এখনও সতর্ক থাকা যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: নিরাপদ নয় মাছ-মাংস-ডিমও, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে

ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে এখনও এক নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ওই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৬ জন। সেখানে, শেষ সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০০ জন। কলকাতায় ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ হাজার ২০৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে শেষ সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছেন ৬০০ জন।


সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে হুগলি, নদিয়া ও হাওড়া

এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫০ জন। তাই এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলতে নারাজ চিকিৎসকরা। চিকিৎসক কৃষ্ণাংশু রায় বলেন, "কমেছে তখনই বলতে পারব, যদি দেখি ডেঙ্গি পরীক্ষাও কমেছে। তার আগে কী করে বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে?" ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে হুগলি, নদিয়া ও হাওড়া।