কলকাতা: গোয়ালপোখরের থেকে ডোমকল, দিকে দিকে আক্রান্ত পুলিশ। একই কায়দায় ডোমকলের আলিনগর গ্রামে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিকে ছিনতাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার অপরাধ দমনে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। 


দিকে দিকে আক্রান্ত পুলিশ: উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালানোর ঘটনায় এখনও অধরা বিচারাধীন বন্দি। পলাতক বন্দি ও সাহায্যকারীর ছবি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। পলাতক বন্দির সাহায্যকারীর বাংলাদেশি-যোগ মিলেছে। পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তিই আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল।কিন্তু পুলিশ পাহারায় থাকা বন্দির হাতে কীভাবে পৌঁছল অস্ত্র? পুলিশ তাহলে কী করছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এদিন রাজীব কুমার বলেন, "আপনারা জানেন আমাদের পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেও যাব। আমাদের ফোর্স মানুষকে নিরাপত্তা দেয়।মানুষ যাতে ভালভাবে থাকতে পারে সেইকাজে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু যদি কোনও দুষ্কৃতী আমাদের ওপর গুলি চালায় আমরা ওর থেকে চার গুণ গুলি চালাব। আমরা কিন্তু এবিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।''


উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের ঘটনার গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেলেও, হদিশ মেলেনি ফেরার অভিযুক্তর। স্থানীয়দের দেওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, গুলি চালিয়ে দু’-দু’জন পুলিশ কর্মীকে কাবু করে কীভাবে পালাচ্ছে ওই দুষ্কৃতী। ২০১৮ সালে করণদিঘির ডাকাতি ও খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। বুধবার সাজ্জাক ও দুই মহিলা বন্দিকে নিয়ে রায়গঞ্জ যাচ্ছিল পুলিশের বাস। তিন বন্দির পাহারায় ছিলেন দুজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া মোড়ের কাছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে, খুনে অভিযুক্ত সাজ্জাক জানায়, সে শৌচাগারে যেতে চায়। বাস থামিয়ে, তাকে নামান দুই পুলিশকর্মী। অভিযোগ, তখনই পুলিশকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালায় সাজ্জাক। গুলিবিদ্ধ হন কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য ও অ্য়াসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর নীলকান্ত সরকার। দুই পুলিশ কর্মীই মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশের দাবি, কোর্ট লক আপে থাকাকালীন সাজ্জাক আলমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়েছিল আব্দুল হোসেন। কিন্তু কে এই আব্দুল হোসেন? বাংলাদেশের বাসিন্দা আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল অনুুপ্রবেশ মামলায় ইসলামপুর জেলে ছিল। সেখানেই পরিচয় হয় সাজ্জাকের সঙ্গে। মাস পাঁচেক আগে ছাড়া পায় আব্দুল। বুধবার এই আব্দুলই জেলে গিয়ে দেখা করে সাজ্জাকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। পলাতক বন্দি ও তার সাহায্যকারীর খোঁজ পেতে তাদের ছবি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা।


আরও পড়ুন: Bankura House Collapse: থাকা হল না নতুন ঘরে, বাড়ি ধসে মর্মান্তিক পরিণতি বাঁকুড়ায়