পানাজি ও কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে দলের (TMC) অন্দরেই শুরু হয়েছে সংঘাত। ডায়মন্ড হারবার মডেলের বিরোধিতার পথে হেঁটে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) দাবি করেছিলেন, তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অন্য কোনও নেতা নেই। দলের সাংসদের এই মন্তব্য নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন গোয়ায় বলেছেন,আমিও বলছি মমতাই আমার নেত্রী, বাকিদের মানি না।’
ডায়মন্ড মডেল বিতর্কে মুখ খুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মমতাও আমার নেত্রী, বাকি কাউকে আমিও মানি না। আমার বিরুদ্ধে কিছু বললে, প্রমাণিত হল দলে গণতন্ত্র রয়েছে। কংগ্রেসের মতো হাইকমান্ড কালচার তৃণমূলে নেই। কল্যাণ বলছেন, আমিও তো বলছি, বাকিদের মানি না।’
অভিষেকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কল্যাণ বলেছেন, ‘আমার দলের মাননীয় সম্পাদক যা বলেছেন ঠিক আছে। আমি কোনও মন্তব্য করব না। দিদির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতাদের বড় অংশ যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রশংসায় সরব, তখন উল্টো পথে হেঁটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছোড়েন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।যা নিয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধ বেধে যায়।
কল্যাণ বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা হয়নি... ত্রিপুরা আর গোয়াতে সরকার তৈরি করে দেখাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপর নেতা মানব।
এর জবাবে কুণাল বলেছিলেন, সাধারণ সম্পাদক একটা কথা বলেছেন। সেটাই দলের মত। কল্যাণ কখন বলেছে, সন্ধের আগে না পরে, সেটা দেখতে হবে।
কল্যাণ বলেন, আমার নেত্রী মমতা। অন্য কোনও নেতা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করি।
কল্যাণের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে জোর বাকযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর কল্যাণের লোকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা যায়। এই পোস্টার কে বা কারা দিয়েছে, তা জানা যায়নি।
এদিন অভিষেক বলেছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্কের কোনও কারণ নেই। তিনি যা বলেছেন, তা আমিও বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার নেত্রী।