পার্থপ্রতিম ঘোষ, অর্ণব মুখোপাধ্যয়, আশাবুল হোসেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙা কালী মূর্তির (Kali Idol) ছবি পোস্ট করে ‘জল ঘোলার চেষ্টা’। সোশাল মিডিয়ায় ভাঙা কালী মূর্তির ছবি পোস্ট করা ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক। পুলিশের অভিযোগ ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওয়ার্কশপে কালী মূর্তি ভাঙেন প্রতিমা শিল্পী ও তাঁর সঙ্গীরাই।


বায়না অনুযায়ী প্রতিমা গড়তে না পারায় ক্রেতাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। পুলিশের আরও দাবি, প্রতিমা বিক্রি করতে না পারার হতাশায় মূর্তি ভাঙেন প্রতিমা শিল্পী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রতিমা শিল্পী ও তাঁর ২ সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। সোশাল মিডিয়া থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট না সরালে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি এসপি-র।


আলোর উৎসবের মধ্যেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, অন্ধকারকে ডেকে আনার চেষ্টার ভয়ঙ্কর ও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল!


সোশাল মিডিয়ায় ভাঙা কালী মূর্তির ছবি পোস্ট করা ঘিরে তৈরি হল তুমুল বিতর্ক! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে। পুলিশ সূত্রে দাবি, সোমবার কালীপুজোর সকালে রামনগর থানার পুলিশ খবর পায়, প্রতিমা তৈরির একটি ওয়ার্কশপে চারটি কালী মূর্তি ভাঙা হয়েছে। 


যা নিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কয়েকজন সেই ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দেন। যার ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র জলঘোলা হতে শুরু করে। এরপরই প্রতিমা শিল্পী ও তাঁর দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। 


পুলিশের দাবি, টানা জিজ্ঞাসাবাদে শেষমেশ প্রতিমা শিল্পীরা স্বীকার করেন যে, মূর্তি বিক্রি নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় হতাশা থেকে নিজেরাই মূর্তিগুলি ভেঙে ফেলেন। মঙ্গলবার প্রতিমা শিল্পী ও তাঁর দুই সহযোগীকে এলাকায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে দাবি, ভাঙা মূর্তির নেপথ্যে সত্য উদঘাটিত হলেও, সোশাল মিডিয়ায় এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে ভাঙা মূর্তির ছবি। সেই সমস্ত পোস্ট দ্রুত ডিলিট না করলে, আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।


তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি: প্রসঙ্গত, এই একই দিনে সোনামুখী (Sonamukhi) শহরের তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। খোয়া গেল আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার গয়না। বাঁকুড়া জেলার (Bankura District) প্রাচীন পুর শহর সোনামুখী। কালীপুজোকে (Kali Puja 2022) কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী মেতে উঠেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনামুখী পুর শহরের তিনটি জায়গায় তিনটি কালীমন্দিরে (Kali Temple) দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনটি মন্দির মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার গয়না।