পার্থপ্রতিম ঘোষ, গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা: এবার ডায়মন্ড হারবারে অজানা জন্তুর আতঙ্ক। ভয়ে কাঁপছে সরিষা ও মশাট পঞ্চায়েত এলাকা !বাসিন্দারা রয়েছেন প্রাণভয়ে, এই বুঝি তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ভয়ঙ্কর বন্য জন্তু।
ইতিমধ্যেই অজানা জন্তুর আক্রমণে ৮ জন জখম হয়েছেন। তাঁরা ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বন দফতর বিশেষ দল গঠন করে ওই এলাকায় পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। মাইকে প্রচার চলছে।
ডায়মন্ড হারবারের দুটি ব্লকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। আহতদের ক্ষত দেখে বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, গোল্ডেন জ্যাকল বা শিয়াল জাতীয় কোনও প্রাণী আক্রমণ করে থাকতে পারে। বিপদ এড়াতে অন্ধকার নামার পর শিশুদের বাইরে বের হতে বারণ করা হচ্ছে। রাতে ও দিনে বনদফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় টহল চলছে।
আরও পড়ুন : মাস ঘুরলেই শিবরাত্রি, জেনে নিন মহাদেবকে তুষ্ট করার সঠিক সময় ও নিয়ম
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে এমন বন্যজন্তু ও বাঘের আতঙ্ক নিত্যসঙ্গী। টানা তিনমাস ধরে বাঘের ভয়ে ভুগছেন পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামের মধ্যে এবার বন্য পশুর রক্তের দাগ মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়।
গ্রামবাসীদের দাবি, বন দফতর গ্রাম লাগোয়া ধনচির জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরেও বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া যাচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্ক দূর করতে এবার গণস্বাক্ষর অভিযান চালালেন গ্রামবাসীরা। শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। বাঘ জনবসতি এলাকায় ঢুকছে না, গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে বন দফতর।
সুন্দরবনে একের পর এক জায়গায় লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বাঘকে আটকাতে জঙ্গল লাগোয়া জাল কেটে, স্থানীয়রা নিজেদের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে বলে জানাচ্ছে বনদফতর। এবার ফেন্সিং কাটলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার তোরজোর করছেন বনদফতরের কর্তারা। গতবছর শীতে যেখানে একটাও বাঘ লোকালয়ে ঢোকেনি বলে দাবি করছে বনদফতর, সেখানে এবছর শুধু ডিসেম্বর মাসেই দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। কেন বারবার লোকালয়ে ঢুকে পরছে বাঘ? বনদফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আসলে খাল কেটে কুমির আনার মতোই, জাল কেটে বাঘ আনছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। মাছ আর কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বনদফতরের দেওয়া জাল কেটে ফেলছেন তাঁরা।