রঞ্জিত সাউ, নিউটাউন: শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তবে তার মধ্যে গতকাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়েও কথা বলেন দিলীপ ঘোষ তিনি কী বলেন?


মমতার আচরণ


দিলীপ ঘোষ বলেন, ''উনি নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ ওনার এই আচরণ। আমাদের দেশে বন্দে মাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধা নেই। উনি ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রেগুলার জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি ক্ষেপে যাই? যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাস করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দে মাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল জয় শ্রীরাম ব্যান করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?''


এতো বোঝালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, তাও অনড় মমতা


এই বিষয় দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওনার রাজনীতিটাই নেগেটিভ পলিটিকস। শুধু নাটক। আপনি তো জয় শ্রীরাম বলায় কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। সারা বাংলার লোক ক্ষেপে আছে। এ জিনিস গণতন্ত্রে চলতে পারে না। আপনারা তো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের এমপি, এমএলএ-দের ডাকেন না। আমরা তো তাও ডেকেছি। সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই প্রকল্পে ওনার কোনো অবদান নেই। উনি রাতে শুয়ে শুয়ে একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন মোদীজী। সেখানে গেস্ট হয়ে তারা আপনার রাজ্যে এসেছেন। আপনি এমন ভাব করছেন, যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে। 


মঞ্চে শুভেন্দু, নিশীথ, সুকান্ত থাকায় আপত্তি মমতার?


ওনার রেলের সঙ্গে কি সম্পর্ক? ওনার জন্মের আগে থেকে হাওড়ায় ট্রেন চলছে। বন্দে ভারত মোদিজী উপহার দিয়েছেন। তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীরা আসবে না তো কে আসবে? আমি তো মঞ্চে উঠিনি। পিছনে বসে ওনার নাটক দেখছিলাম। অনুষ্ঠান যখন চলছে, মোদি ভাসন দিচ্ছেন, উনি তখন মুখ্য সচিবের সঙ্গে গল্প করছেন। আপনার গল্প করার জন্য তো নবান্ন আছে। সেখানে করুন। বাঙালির যেটুকু মান সম্মান ছিল, এরা ডুবিয়ে দিচ্ছে। 


২০২৩-এ কি পালাবদল হবে?


বাংলার মানুষ ঠিক করবে দিদিমণির পাগলামি বাড়বে কিনা। আমরা সুশাসন দেওয়ার রাজনীতি করি। মানুষকে ভিক্ষা দেওয়ার রাজনীতি করিনা। অন্যের কাছে টাকা চেয়ে নিয়ে এসে অন্যকে দেওয়া। এই রাজনীতি আমাদের নয়। দেশের সব রাজ্য এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের নেগেটিভ পলিটিকস এবার বন্ধ হোক। নাহলে বাংলার মানুষ নিজেরাই এটা বন্ধ করে দেবে। বাংলার মানুষ তাকিয়ে আছে। গা জোয়ারি রাজনীতি, পুলিস, গুন্ডা, কেস কামারি দিয়ে মানুষকে বেশিদিন আটকে রাখা যাবে না। সর্বত্র দুর্নীতি। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নেতারা পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে চাইছেন। পালিয়ে কোথায় যাবেন? যা টাকা ঝেড়েছ সব মানুষ কেড়ে নেবে।