উত্তর ২৪ পরগনা: পূর্ব বর্ধমানে প্রকাশ্যে রাস্তার উপর খুন হয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। কয়লা সিন্ডিকেট সংক্রান্ত কারণেই রাজু খুন হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। এই রাজু ঝাকেই চিনতেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং।


কী বলেছেন অর্জুন:
অর্জুন বলেন, 'রাজু ঝা ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। বিজেপিতে রাজুর যোগদানের সময় দিলীপ ঘোষ ও আমি ছিলাম। অনেকের সঙ্গেই রাজুর ভাল সম্পর্ক ছিল। অনেক পুলিশ অফিসারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল রাজুর।'


অর্জুন সিং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন, তারপরে ফের তৃণমূলে যোগ দেন অর্জুন সিং। 


প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর:
রাজু ঝা খুনে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হল। মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এর অর্থ, মুখ্যমন্ত্রী সব দেখেও চুপ আছেন।'


রাজনৈতিক তরজা:
রাজু ঝার বিজেপি যোগ নিয়ে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র। তিনি বলেছিলেন, 'রাজু ঝাকে নিয়েই বিজেপিতে চূড়ান্ত মত বিরোধ হয়। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গেই চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়। রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করান দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়।  রাজুর হোটেল বড় বড় বিজেপি নেতারা ব্যবহার করতেন এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না? এই দুষ্টু লোকগুলো সিবিআই-ইডির লিস্ট থেকে কী করে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে?' দিলীপ ঘোষের সঙ্গেই বাবুলের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।


পাল্টা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগ দেননি। রাজুর মতো অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে এসেছিলেন কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।'


এদিকে খুনের ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। দুপুর ১টাতেও ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পড়েছিল গুলির খোল। হাইওয়েতে খুন করে রুট বদলে জিটি রোডে ওঠে দুষ্কৃতীরা, পুলিশ সূত্রে খবর। শক্তিগড় থানার অদূরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলের চারপাশে একাধিক সিসিটিভি, তাও অন্ধকারে পুলিশ! পেশাদারি কায়দায় খুন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন: 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগ দেননি,' প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের