রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : বৃহস্পতিবার জনসংযোগ যাত্রায় নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ( BJP ) একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) । আর শুক্রবার সকালে নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে সেই চোখা চোখা মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh ) । 


'বাংলা ডুবছে'


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়াার যাত্রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ' এখন ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। ৩ মাস পর সিনেমা দেখাব '  । এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ' কে ট্রেলার বা টিজার দেখাল, তাতে বাংলার মানুষের কী যায় আসে? আসল সিনেমা তো সিবিআই ইডি দেখাচ্ছে। আগে ওটা সামলান। এ ওকে চ্যালেঞ্জ করছে, ও তাকে চ্যালেঞ্জ করছে, আর বাংলা ডুবছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশাসন, মানুষের নিরাপত্তা, সব ডুবে গেছে। বাড়ি থেকে বেরোলে চিন্তা করতে হয় ফিরে আসতে পারব কিনা। সারা রাজ্যের পুলিশ দিয়ে এমন একটা লোককে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, যার কোনও গুরুত্বই নেই। হতে পারে ও হয়তো পার্টির ভবিষ্যত। কিন্তু বাংলার ভবিষ্যত কী? '


'বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে কেন? '


নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক হুঙ্কার দেন, ' ওদের হাতে ইডি সিবিআই মোদী আছে। আমাদের হাতে মানুষ আছে'। এই প্রসঙ্গেও অভিষেককে এক হাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ' কোথায় মানুষ আছে? তাহলে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে কেন? মানুষ অন্যদিকে আছে। তাদের রায়কে না মেনে আপনারা কাজ করছেন। মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই। তাই জঙ্গলমহলে চোর চোর শ্লোগান শুনতে হয়েছে। ' 


 'কেন লাফালাফি করতে গেছিলেন নন্দীগ্রামে? '


নন্দীগ্রামে নতুন করে নির্বাচন হলে, ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন তৃণমূল প্রার্থী,  জনসংযোগ যাত্রায় নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের তাঁর মুখে শোনা যায় গদ্দার কটাক্ষ। কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক। তারও জবাব দিলেন দিলীপ। প্রশ্ন করলেন , ' তখন জিতলেন না কেন? মূল ইলেকশনে জিততে পারলেন না। বাই ইলেকশনে জিতবেন? এমনি ভোট হলে ওখানে আপনারা হারেন। আপনারা ভোট লুঠ করলে জেতেন। তখন ফুটানি মেরে ওখানে কে যেতে বলেছিল? ঘুরে ফিরে পুনর্মূষিকোভব হয়ে সেই তো ভবানীপুরে এসে জিততে হল। কেন লাফালাফি করতে গেছিলেন নন্দীগ্রামে? মেদিনীপুরের লোক আয়না দেখিয়ে দিয়েছে তো। 


বিজেপির মেয়াদ আর ১ বছর, অভিষেকের এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।  ' বিজেপির মেয়াদ সারা দেশের লোক দেখছে। আপনাদের কী হবে? ... সারা দেশ থেকে গুটিয়ে কালীঘাটে ঢুকে গেছেন। তাই ওসব ডায়লগ দেবেন না। ' 


অন্যদিকে, ১৬ জুন, একই জায়গায় পাল্টা পথে নামবেন  শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে না গেলেও, চণ্ডীপুর থেকে চণ্ডীপুর মোড় হয়ে রেয়াপাড়া যাবেন বিরোধী দলনেতা।