কলকাতা: নিয়োগ থেকে গরু-কয়লা পাচার কিংবা রেশন দুর্নীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আসছে!জেলে রয়েছেন দু'জন মন্ত্রী। দু'জন তৃণমূল বিধায়ক-সহ তৃণমূলের একাধিক বর্তমান এবং বহিষ্কৃত নেতা।এর মধ্য়েই এবার বিস্ফোরক ইঙ্গিত শোনা গেল দিলীপ ঘোষের মুখে ! 


দিলীপ ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, 'আজকে পশ্চিম বাংলায় ভাবুন আপনি, শিক্ষামন্ত্রী জেলে। আর কে কে যাবে! যখন তখন যাকে তাকে ধরতে পারে। দিদিমণি এখন সেই মুরগির বাচ্চা আগলে রেখেছেন। যেমন যাঁরা গ্রামে থাকেন, কাক এসে তুলে নিয়ে যায়, চিল এসে তুলে নিয়ে যায় মুরগির বাচ্চা। এখন সকাল বিকেল পাহারা দিচ্ছেন, কোনটাকে কখন তুলে নিয়ে গেল। সকালবেলা মাথা গুনতে হয়। পার্থ আছে কিনা, ববি আছে কিনা, বালু আছে কিনা। দেখল দু'টো নেই।'


তিনি আরও বলেন,' তা আমি বলছি, দিল্লির দু'জন মন্ত্রী জেলে গেছেন, মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে চিঠি এসেছে। আমাদের মুখ্য়মন্ত্রীর তো ২টো মন্ত্রী, ৩জন MLA, আরও কত নেতা গেছে। তাঁর কাছে একটা চিঠি আসা উচিত কিনা? স্ট্য়াটাসে লাগছে না তো আমাদের। অন্য় মুখ্য়মন্ত্রীরা চান্স পাচ্ছে, ED-CBI তাঁদের নাম নিচ্ছে। আমাদের মুখ্য়মন্ত্রীর নাম এখনও নেয়নি। আমার মনে হয়, দু-একজন মন্ত্রী ধরা পড়লে, জ্য়োতিপ্রিয় বলে দিয়েছে, আমি জানি না, দিদি সব জানে। কেষ্ট বলে গেছে, দিদি জানে।'দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক ইঙ্গিত কার দিকে? একের পর এক দুর্নীতির মামলার তদন্ত যেমন চলছে, তেমন তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদও চড়ছে দিনে দিনে। 


আরও পড়ুন, 'ভারত কাল জিতবে,তারপর..', কী বার্তা সলমনের ?


সম্প্রতি আমডাঙ্গায় তৃণমূল নেতা 'খুন' প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,'কে কাকে প্রটেকশন দেবে? এগুলি তো পার্টির কাজ নয়। রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের কাছে যায় না। মানুষকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ক্রমশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়। প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। কেউ বিরোধিতা করলে, তাকে রেয়াত করা হচ্ছে না। প্রশাসন কোথায়? আইন শৃঙ্খলা কোথায় ? সরকার কোথায় ? মুখ্যমন্ত্রী ২ মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। তিনি চালাতে পারছেন না। অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ভাইপোকে দিয়ে দিন। রিজাইন করুন। পুলিশমন্ত্রী অন্য কাউকে করুন। পারবেন না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি ওনাকে ভোট দিয়ে ভুল করেছে?'