বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ( Kaustav Bagchi )। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh )  কটাক্ষ, ' মুখ্যমন্ত্রীরই নিরাপত্তা নেই ' 


কৌস্তভের দাবি , তাঁর বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে এক তৃণমূল কর্মী জানান। এরপর সোমবার রাতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে ই-মেল করে নিরাপত্তা চান কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার দাবি, রাতে তাঁর ব্যারাকপুরের  বাড়ির সামনে ঘুরে যায় পুলিশ। 


কৌস্তভ বাগচী তো বিরোধিতা করে টার্গেট, তাই কৌস্তভ বা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থাকবেই। আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 

সোমবার  ব্যারাকপুর জুড়ে কৌস্তভ বাগচীকে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার পড়ে। পোস্টারে অভিযোগ করা হয়, মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীকে ( Mamata Banerjee ) কুরুচিকর ও অশালীন মন্তব্য করে এলাকার সংস্কৃতিকে গোটা বাংলার কাছে হেয় করেছেন কৌস্তভ। তাই ব্যারাকপুরবাসীর ব্যানারে আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। কৌস্তভের দাবি, পোস্টারকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের তরফে কৌস্তভের কাজের সমালোচনা করা হয়েছে। এরপর দিনই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কাছে নিরাপত্তা চান কৌস্তভ । 


এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান উত্তম দাসের দাবি, 'গোটাটাই নাটক। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চাইলে পেয়ে যাবেন কৌস্তভ।'


কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি একজোট করছে বাম-কংগ্রেসকে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। আর এরপরই ঘাসফুল শিবির থেকে এ নিয়ে এসেছে কটাক্ষ।


এক যুগ ধরে হাতে থাকা সাগরদিঘি বিধানসভা আসন, উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। বামেদের সমর্থনে বিধানসভায় খাতা খুলেছে কংগ্রেস। তারপর অধীর চৌধুরীকে ব্য়ক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা দীপক ঘোষের একটি বইরে কথা তুল ধরে মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কৌস্তভ। তারপরই শনিবার মাঝরাতে ব্য়ারাকপুরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ।  যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়। এদিন জামিন পেয়ে তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতাচ্যূত হচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত মাথায় চুল রাখবেন না। তিনি মাথা কামিয়েও ফেলেন। আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে নিয়ে শনিবার দিনভর তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি!