বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সিবিআইয়ের (CBI) নোটিস (Notice) থেকে মমতার (Mamata Banerjee) শাহকে (Amit Shah) আক্রমণ, সব নিয়ে সোমবার উত্তপ্ত ছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবার সেই প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 


এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা। লোকসভা-বিধানসভায় মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, বিজেপিই বাংলার ভবিষ্যৎ। কংগ্রেস থেকে সিপিএম, এখন তৃণমূল, এরপর ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। অমিত শা ৩৫টি আসনের কথা বলেছেন, যার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯-এ ১৮টি আসন পেতেই দলে দলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। যতদিন আয়ের সুযোগ আছে, ততদিনই এমএলএ-এমপিরা দিদির সঙ্গে আছেন। যেদিন একটু এদিক-ওদিক হবে, সব পালাবে।' 


অন্যদিকে, কেউ খারাপ কিছু করলে, আইনি ব্যবস্থা হবে, সরকারে আঁচ পড়বে না। প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের। 


যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ইডি, সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখানো চলছে। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইডি, সিবিআই যায় না কেন? সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যেখানে দুর্নীতি সেখানে ইডি, সিবিআই যাবে। এর আগেও তো বিজেপির রাজত্ব ছিল। তখন কংগ্রেসের ক্ষমতা হয়নি সিবিআই পাঠাতে। এখানে বারবার এসেছে নারদা-সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তখন তো বিজেপি ছিল না। আসলে সমস্ত নেতা, মন্ত্রী ,এমপি, এমএলএ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। যেখান থেকে এই উৎসাহ অনুপ্রেরণাটা এসেছে এখন তীর ওদিকে যাচ্ছে। এমএলএ পালাচ্ছে, ঘর ছেড়ে পুকুরে ফোন ফেলে দিচ্ছে। গাছে উঠে যাচ্ছে। বাঁচার জন্য এই যদি এমএলএ, এমপিদের স্ট্যান্ডার্ড হয় তো হবেই। সিবিআই, ইডির তো কাজ এটা। যেখানে দুর্নীতি, অনৈতিক কাজ হয়েছে সেটা খুঁজে বার করা। আর সেটাই ওরা করছে। ওরা ভয় দেখাচ্ছে না, ডেকে নিয়ে যেতে এসেছে। সবকে জেলের ভাত খাওয়াবে।' 


আরও পড়ুন, মারণফাঁদ ফাটলে ঢুকে যায় দেহ! অন্নপূর্ণার তুষারঢাকা শৃঙ্গে 'নিখোঁজ' ভারতীয় পর্বতারোহী


পাশাপাশি মুকুল রায়ের 'নিখোঁজের' প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'নিখোঁজ অনেকদিন আগেই হয়েছেন। ছয় মাসের মধ্যে দেখুন ওর কোন খবর আছে। উনিতো একজন এমএলএ আছেন। বাংলার রাজনীতিতে খুব বড় ব্যক্তিত্ব উনি নেতা কেন কোন খবর নেই। আমার মনে হয় এটা লস্ট কেস। মুকুল রায় কে নিয়ে কেউ চিন্তা করে না আর।'