রঞ্জিত সাউ, কলকাতা :  শুক্রবার ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর, মোদি ( Modi) সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) । তিনি বলেন, ' আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগসূত্র থাকলে, পাঁচ পয়সা নিয়েছি প্রমাণ হলে ইডি-সিবিআই ( ED, CBI ) লাগানোর প্রয়োজন নেই। মঞ্চ তৈরি করবেন, মৃত্যুবরণ করব। আমি বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না। ' তৃতীয়বার ED’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর, এভাবেই মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আক্রমণ অভিষেকের 
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ' এই টাকা ( গরুপাচার ) অমিত শাহের কাছে যায়। এই টাকা বিজেপির কাছে যায়। এটা গরুপাচার দুর্নীতি নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্নীতি। দু’জনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছে, তার মধ্যে একজন নিশীথ প্রামাণিক। গরু চোরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে গরু পাচারের তদন্ত করছে। ' 

দিলীপের পাল্টা আক্রমণ 
এই প্রসঙ্গে আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ' পিসি-ভাইপোর কথাবার্তা এখন উল্টোপাল্টা হচ্ছে। ওঁরা ভবিতব্য বুঝতে পারছেন।' দিলীপ আরও বলেন, ' আগামীদিনে অনুব্রতর মতো মাটিতে শুতে হবে' ।


 ED’র জিজ্ঞাসাবাদের পর আর কী বলেন অভিষেক
আট ঘণ্টা ধরে ED’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, থেকে বিরোধী দলনেতা সকলকেই একেবারে নাম করে করে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন খুনের মামলার বিচার নিয়েও। বলেন, ' মার্ডার কেসে স্থগিতাদেশ বা তদন্তে স্থগিতাদেশ কেন দেওয়া হচ্ছে? তার মানে তারা চায় না, সত্য সামনে আসুক। সত্যিটা উদঘাটিত হোক, জনসমক্ষে আসুক। সেই জন্য মার্ডার কেসে ইনভেস্টিগেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।' 


গতবছর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর খুনের অভিযোগের মামলায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ভবানীভবনে ডেকেছিল সিআইডি। সেদিনই তাঁকে রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। খুনের অভিযোগের মামলার তদন্তে, স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।