রঞ্জিত সাউ, নিউটাউন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee )  সঙ্গে বৈঠক করতে মঙ্গলবার কলকাতায় আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লির আমলাদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে অর্ডিন্যান্স এনেছে মোদি সরকার। তা আইনে পরিণত করতে, কেন্দ্র যাতে রাজ্যসভায় বিল পাস করতে না পারে, তার জন্য অবিজেপি দলগুলিকে পাশে চাইছে আম আদমি পার্টি। এই সাক্ষাৎ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


মঙ্গলবার তিনি বললেন, ' একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেক জন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওনাকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু উনি জেনে গেছেন, মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে। ' 


আরও পড়ুন


কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জয়ের পর শনিবারই বেঙ্গালুরুতে সিদ্দারামাইয়া, ডি কে শিবকুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে দেখা গিয়েছিল বিরোধী ঐক্যের ছবি। লোকসভা ভোটের আগে, বিজেপি বিরোধী দলগুলি কি আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে? সেই সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে মঙ্গলবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই প্রশ্নেই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্যস্থাপনের চেষ্টার প্রসঙ্গে টেনে এনে ব্যাঙ্গ করেন দিলীপ। বলেন, 'গতবার একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওনার ১২ টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না।' 


এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন দিলীপ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী সোমবার বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এ বেঞ্চ থেকে ও বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময় নষ্ট করছেন। সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। ' 


এভাবেই মঙ্গলের সকালে দিলীপ ঘোষ বিভিন্ন ইস্যুতে কার্যত জর্জরিত করলেন রাজ্যের শাসকদল, নেতা-নেত্রীদের।