বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : লোকসভা ভোটে ( Loksabha Poll ) বাংলা থেকে ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্য পূরণে  ১৫ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ( Amit Shah )  ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ( J P Nadda ) । সেই টিমে রাখা হয়েছে দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh )  মতো পুরনো নেতাকে! যিনি বঙ্গ বিজেপিতে কোণঠাসা বলে, বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। অন্যদিকে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে ( Anupam Hazra )। '


এই প্রসঙ্গে বুধবার মর্নিং ওয়াকের সময় দিলীপ ঘোষকে জিগ্যেস করা হলে তিনি বলেন, 'ওটা পার্টির সিদ্ধান্ত। আমাকেও সরিয়ে দিয়েছে এক সময়।' মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের আরও মন্তব্য, 'এটা সর্ব ভারতীয় সিদ্ধান্ত। আমাদের কিছু বলার নেই। '


বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি, এক সময় দুটি পদেই দায়িত্ব সামলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় চমকপ্রদ ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরও রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরতে হয়েছিল তাঁকে। তারপরই জল্পনা জোরালো হয় যে, বঙ্গ বিজেপিতে গুরুত্ব কমছে দিলীপের। তারপর তাঁকে সরানো হয়  বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি পদ থেকেও। সেই দিলীপকেই ২৪-এর ভোটের আগে ১৫ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে রেখেছে হাইকমান্ড। 


 বুধবার দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে অনুপম হাজরাকে সরায় বিজেপি। মাসখানেক ধরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছিলেন অনুপম। রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। তাছাড়া দলের অন্দরে দুর্নীতি ইস্যুতে পরের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অনুপম।  দলকে কাঠগড়ায় তুলে চোরমুক্ত বিজেপি চাই স্লোগান তোলেন তিনি। ব বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের মঞ্চেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিজেপির জাতীয় স্তরের পদ খোয়াতে হল তাঁকে। 

তাৎপর্যপূর্ণ হল, অনুপম যখন সুকান্ত সহ বঙ্গ বিজেপির একাংশকে সমালোচনায় ফালাফালা করছিলেন, তখন এই দিলীপ ঘোষই বলেছিলেন, উনি দলের কেন্দ্রীয় নেতা, উনি নিশ্চয় অনেক কিছু জানেন। রাজ্য় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা উচিত। 


আরও পড়ুন :


এবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে গীতাপাঠের আসর ! জানালেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী