'দায়টা কে নেবে?'


রাজ্যের ফের সিঙ্গুর-ধাক্কা ( Singur Issue ) থেকে জ্যোতিপ্রিয়র হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া, সবকিছু নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh )। সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে WBIDC-কে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে ৩ সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সোমবার, বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে টাটা মোটরস। ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। মামলার খরচের জন্য WBIDC-কে দিতে হবে আরও ১ কোটি টাকা, বিবৃতিতে জানিয়েছে টাটা গোষ্ঠী ( TATA ) । হিসেব বলছে, ৭ বছরে ১১ শতাংশ হারে সুদ ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রায় ১৩০০ কোটি। এই বিরাট অঙ্কের টাকার বোঝা চাপতে পারে রাজ্যের উপর। এই নিয়ে ছেড়ে কথা বলছে না বিরোধী শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ' এরা রাজনৈতিক স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সামাজিক বা দেশের কোন লাভ হয়নি। এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি। তিন ফসলি জমি দেওয়াটাও ঠিক হয়নি আবার সেই জমিকে বন্ধ করে দিয়ে বেকার করে দেওয়ার কোন মানে হয় না। সিপিএমও করেছে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে টিএমসিও করেছে তাই। তার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরিও গেল, ব্যবসা গেল, জমিও গেল। এখন টাকাও যাবে... এর দায়টা কে নেবে?'। এর জন্য মানুষের কাছে  ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি দিলীপের। 

জ্যোতিপ্রিয় প্রসঙ্গে দিলীপ


অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাসপাতাল থেকে তাঁকে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছে ইডি। এবার ১০ দিন হেফাজতে রেখে তাঁকে জেরা শুরু করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জ্যেতিপ্রিয়র অসুস্থতা নিয়ে আগেও কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ। আবারও বললেন, ' আমি আগেও বলেছিলাম কোন পার্মানেন্ট রোগে তিনি অসুস্থ নন। সিরিয়াস তো নয়ই। সাময়িক একটা ঝটকা খেয়েছেন। চাপে তো শরীর খারাপ হতেই পারে! এতক্ষণ ধরে জেরা করেছে, বিপি সুগার বাড়তেই পারে। এখন তো সুস্থ আছেন।  এখন যে উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত' 

দলে জোশের ঘাটতি?


কিছুদিন আগেই নিজের দল সম্পর্কে দিলীপ ঘোষের গলায় শোনা যায় আক্ষেপের সুর। তিনি মন্তব্য করেন, বাংলায় 'বিজেপি হারতে হারতে হারাধন হয়ে গিয়েছে। পিঠে পিঠও ঠেকে গিয়েছে।'   তাহলে কি বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের জোশে ঘাটতে পড়েছে? প্রশ্ন করতেই তাঁর জবাব, 'জোশ কারও কম নয়। কর্মীদের মধ্যে জোশ কম আছে। কর্মীদের মধ্যে জোশ না এলে পার্টি এগোতে পারে না। যতদিন আমাদের মধ্যে জোশ ছিল, আমরা এগিয়েছি। সবাই আছে, আবার ইলেকশন আসছে। নেতারা আসবেন, নরেন্দ্র মোদি আসবেন। পাটি কর্মসূচি নিয়েছে, জোশ আবার আসবে।'