শিবাশিস মৌলিক, জয়ন্ত পাল, সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা :'সবে শুরু। দলের ভাইদের একে একে উইকেট পড়ছে।' কেউ বাদ যাবেন না, হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh )। 'মারের পাল্টা এবার মার', হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের ( Sukanta Majumdar )। বিজেপির অমৃত কলস যাত্রার মিছিলে পাশাপাশি দেখা গেল রাজ্য বিজেপির বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতিকে। আর দুজনেই তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 


ক্ষুরধার ভাষায় দিলীপ বলেন, ' পাপের ঘড়া প্রায় ভরে এসছে। আপনার এই যে রাবণের গুষ্টি, একটা একটা করে শেষ হবে। আর আপনি বেঁচে থাকুন ১০৫ বছর। সব দেখে যান। আপনার রাজত্ব ধ্বংস হোক। ' রবিবার বিজেপির অমৃত কলস যাত্রায় ফের পুরনো ছন্দে পাওয়া গেল রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। বললেন, 'পাপ বাপকেও ছাড়ে না আর টিএমসিকে ছাড়বে কেন? এবারের ইলেকশনে গঙ্গাযাত্রা করতে হবে। বিসর্জন দিতে হবে। ধুয়ে ফেলতে হবে। না রেহেগা বাঁশ না বাজেগি বাঁসুরি।'


রবিবার, অমৃত কলস যাত্রার মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতিকে। 
মিছিল শেষে কলস নিয়ে বাসে করে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ' আপনারা দিল্লি যাচ্ছেন, দিল্লি থেকে মোদীজির সঙ্গে দেখা করে এনার্জি নিয়ে আসুন। তৃণমূল যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে। মারের পাল্টা এবার মার।' 


রবিবার দলের ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিতে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দুই বিজেপি সাংসদ। একই মঞ্চে দিলীপের সুরে সুর মিলিয়ে মারের দাওয়াই দেন দলের রাজ্য সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মাটি নিয়ে গিয়ে কী হবে বকেয়া টাকা দাও। মাটি যতই নিয়ে যাও এখানে মানুষ তোমাদের হারাবে।' 


রবিবার দিলীপ ঘোষকে পুরনো ছন্দে পাওয়ার দিনই আবার এই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত রইলেন বিরোধী দলনেতা। এদিন মিছিল শেষে, ওয়াই চ্যানেলে সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, সেখানে সভায় যোগ দেননি বিরোধী দলনেতা। যদিও এর কারণ নিয়ে কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে। সম্প্রতি, দুর্গাপুজোর শহরে কলকাতায় ঘুরে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার ২ দিন আগে রাজ্য বিজেপির প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার। যদিও, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার, অমৃত কলস যাত্রার মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতিকে। মিছিল শেষে কলস নিয়ে বাসে করে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে বিশেষ ট্রেনে কলস নিয়ে রওনা দেন দিল্লি।