কলকাতা : পথেই পার ২ রাত। চাকরির দাবিতে করুণাময়ীতে আমরণ অনশনে প্রাথমিক টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। খালি পেটে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অনড় পর্ষদও। করুণাময়ীতে রাস্তার একদিক আটকে চাকরির দাবিতে চলছে বিক্ষোভ, উঠছে স্লোগান অহরহ। এই নিয়ে শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন বিরাধীরা। 


'আমরা পাশে আছি'
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুধবার বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা রয়েছে। যাঁরা অধিকারের জন্য লড়ছেন, আমরা তাঁদের পাশে আছি ... ‘চাকরিপ্রার্থীদের লড়াই সরকারের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে’ মন্তব্য দিলীপের। 

তিনি আরও বলেন, ' সরকার কি ঘোষণা করে দিয়েছে যে এই ব্যাচের আর চাকরি হবে না? তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে, তাঁরা ভেবেছিল সবাই চাকরি পাবে। এই ধারণা তৈরি হয়েছে কেন? সেই ধারণাটা ভুল না ঠিক সেটা আগেই পর্ষদের বলা উচিত ছিল। এখন যখন চাকরি দিতে পারছে না, তখন বলছে চাকরি এখন হবে না। ' 


দেড় লক্ষ চাকরী বাকি রয়েছে। ১০ হাজার নিয়ে বাতিল করে দেবেন। বাকি ছেলে মেয়েরা করবে কি? বছরের পর বছর নিয়োগ হবে না! এর জন্যে রাজনীতির কি আছে? তাঁরা তো তাঁদের লড়াই করছে। রাজনৈতিক নেতারা যাচ্ছেন নিজের প্রয়োজনে বা তাঁদের সমর্থনের জন্যে। তারা তো ডাকে নি কাউকে। লড়াই অযোগ্যতার বিরুদ্ধে। 

'সব জায়গাতেই দু নম্বরি' 
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিগ্যেস করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই তিনি মন্তব্য করবেন না। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মন্তব্য,  স'ব পরীক্ষাই আদালতে যায়। সব জায়গাতেই দু নম্বরি হয়। প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে! তার জন্যে কি বলবেন আপনার কোনও দায় নেই! আপনার প্রশাসনের লোকজনদের কোনও যোগ্যতা নেই একটা পরীক্ষা ঠিক করে করায়। পরীক্ষা হলে ঠিক সময় রেজাল্ট বের হোক। রেজাল্ট বেরোলে চাকরি হোক। টেট বা এসএসসি নয় একাধিক ডিপার্টমেন্টে একইভাবে চাকরি হয়নি। '

এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ' পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং যাঁরা ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁদের চোখ রাঙাচ্ছেন' 

দিলীপ ও সুজনের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। ' সুজনবাবুরা চুপ করে বসে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড দেখুন। আর দিলীপ ঘোষ ঠিকই বলেছেন। রাজ্য নয়, আসলে গোটা দেশেই চাকরির অভাব।'  কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের।