সমীরণ পাল, ভাটপাড়া (উত্তর ২৪ পরগণা): যাদবপুরের ( Jadavpur University ) ঘটনা নিয়ে ফুটছে বঙ্গ। সেই সঙ্গে তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক আকচাআকচি। কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে তীব্র। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুরের ঘটনায় তীক্ষ্ণ ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার কড়া নিন্দা করে 'টুকরে টুকরে গ্যাং'- এর প্রসঙ্গে টেনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। এবার দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh ) গলাতেও সেই সুর ।
ভাটপাড়ায় সভা থেকে কার্যত হুঙ্কার শোনা যায় তাঁর গলায়। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় JNU-র প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বললেন, ' বাইরে বেরোও দেখি, কত আজাদির কথা বলছ, বুঝে নেব। এই সব সমাজবিরোধীদের মাথা থেঁতো করে দেওয়া উচিত। ' BJP র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আরও বলেন, ' বিজেপি ক্ষমতায় এলে যাদবপুরে জয় শ্রীরাম স্লোগান হবে।'
একইসঙ্গে যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে নপুংসক অ্যাখ্যা দিয়ে দিলীপের বিধান, 'কাশ্মীর ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে,আর যাদবপুর ইউনিভার্সিটি কোন ছাড়! বুটের লাথি মেরে অন্য ইউনিভার্সিটি ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে' ,ভাটপাড়ায় দলীয় সমাবেশে হুঙ্কার দেন বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষের ।
সম্প্রতি লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। প্যাংগং হ্রদে বাইক নিয়ে যান তিনি। বাবা, প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানান সেখানে। সেই সফর-প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গাঁধীকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ' কাশ্মীর লাদাখে গিয়ে তো ফুটবল খেললেন,মানুষের সাথে কোথায় যোগাযোগ করলেন?'
দিন কয়েক আগে যাদবপুরে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচি থেকে প্রায় একই সুরে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ' যে পার্টি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে ফেলে দিয়েছে, উপড়ে ফেলে দিয়েছে..আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা ব্যানার্জি যার গার্জেন তাদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের।'
সেদিন তারপরই যাদবপুরের 8B বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এরপর যখন শুভেন্দু তাঁর গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোন, সেই সময় ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। অশান্তি-র আবহেই হঠাৎ এই যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মারামারি বাধে! বিজেপি এবং যুব মোর্চার সদস্যদের লাথি, ঘুষিতে মাটিতে পড়ে যান ওই যুবক! তাঁর নাক-মুখ ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। এই ঘটনার পরই, যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী।