শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের দিনহাটায় (Dinhata) গুলি (Shootout), আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর স্বামী। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীর হয়ে প্রচার সেরে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ। ৪টি গুলি লেগেছে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর, ভর্তি হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধ ২জন, দাবি সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের। 


ফের, দিনহাটায় চলল গুলি। আবার ঝরল রক্ত। বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের পর এবার, গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী। আহত হয়েছেন আরও একজন তৃণমূল কর্মী। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার নাম আজিজুল রহমান। তিনি দিনহাটার গীতালদহের তৃণমূল নেতা। তার স্ত্রী ডলি খাতুন এবার গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন।


আক্রান্তের দাবি, ভাঙা স্কুল এলাকা থেকে দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার সময়, সন্ধেবেলা দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে হামলা করে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। গুলি লাগে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর পায়ে। মারধর করা হয় এক তৃণমূল কর্মীকেও। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বলেন, 'রাস্তার মধ্যে অ্যাটাক হয়, অ্যাটাক হওয়ার পর এই ঘটনা হয়। আমি প্রার্থী না, আমার স্ত্রী প্রার্থী।' 


তৃণমূলের দাবি, বিজেপির মদতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদের অনুগামীরা এই হামলা করেছে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। এরপর, তাঁকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবু আল আজাদ বর্তমানে জেলে রয়েছেন। 


কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কারা এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


আগেও অশান্ত হয়েছে দিনহাটা


খড়গ্রাম, ভাঙড়, নবগ্রাম, সুজাপুরের পর এবার দিনহাটা! বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খুনের নেপথ্যে বিধায়ক উদয়ন গুহর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দাবি, রাজনীতি নয়, খুনের নেপথ্যে মহিলা সংক্রান্ত গন্ডগোল থাকতে পারে। শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটের স্ক্রুটিনি চলাকালীন উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারের সাহেবগঞ্জে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও কোচবিহারের বিজেপি সভাপতি ও বিধায়ক সুকুমার রায়। অভিযোগ, নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোড়ে তৃণমূল।