অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : শ্রীভূমিতে (Sreebhumi) এবার ডিজনিল্যান্ড (Disney Land)। ছোটদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)।  এখনও মাঝে মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে জলভরা মেঘ, ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি। কে বলবে, দেবীর বোধনে বাকি আর মাত্র দেড় মাস! শুরু কাউন্টডাউন। তুঙ্গে প্রস্তুতি শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে। মূল মণ্ডলের কাঠামো অনেকটাই তৈরি। প্রতিবারের মতো, এবার আলোতেও চমক দিতে তৈরি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।  সেই সঙ্গে থাকছে নজরকাড়া ঝাড়বাতি, মায়ের গয়না।


দমকলমন্ত্রীকে ধমক: সম্প্রতি, একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই পুজো নিয়ে ধমকও খেয়েছেন দমকলমন্ত্রী। একদিকে প্রশংসা, অন্যদিকে ধমক। জনসমক্ষেই মুখ্যমন্ত্রীর 'বকা' খান সুজিত বসু। তাঁর মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি কলকাতার প্রখ্যাত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তা সুজিত বসু (Sujit Basu)। থিম হোক বা আলোর কাজ, যে পুজোর নামডাক যথেষ্ট। প্রত্যেক বছরই কার্যত উপচে পড়া ভিড় হয় 'সুজিত বসুর পুজোয়'। আসন্ন পুজোয় যাতে কলকাতার ভিআইপি এলাকায় যান চলাচলে প্রভাব না পড়ে ও বিমানবন্দরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রভাবিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)।


'সবচেয়ে দুষ্টুমি করে সুজিত বোস': এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) বাংলার দুর্গাপুজোর কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সবচেয়ে দুষ্টুমি করে সুজিত বোস। এমনভাবে এলাকাটা করে এয়ারপোর্ট থেকে লোক আসতে পারে না। পুলিশকে বলব এয়ারপোর্ট যাতে ডিসটার্ব না হয়। তুমি একটু দেখে করবে। তুমি ফায়ার ব্রিগেড মিনিস্টার, তোমাকেও একটু মাথায় রাখতে হবে। শুধু তোমারটাতে লোক যাবে অন্যগুলোয় যাবে না, তোমার চালাকিটা আমি বুঝি। পুজোর সময়ে এয়ারপোর্টে কত লোক আসে। তুমি সব কর, ভাল করে করো, অভিনন্দন রইল, সবাইকে নিয়েই তুমি কাজ করো, এলাকা সাজিয়েছও ভাল, কিন্তু দেখে নিতে হবে ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম যাতে চলে।' মজার ছলে তাঁর বক্তব্য রাখার পরে খানিক ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী জোড়েন,  'ট্রান্সপোর্ট ব্লক হলে আমি তোমাকে ব্লক করব।'


উল্লেখ্য, বর্ষা ফুরোতে না ফুরোতেই দরজায় শরত্‍। পুজোর বাকি আর ৫০ দিন। ঘরে ঘরে আসছেন মা। কুমোরটুলি থেকে মুদিয়ালি, শোভাবাজার থেকে বাগবাজার, প্রস্তুতি তুঙ্গে। হিসেব বলছে, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আর মাত্র ৫০ দিন বাকি। পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে, প্যান্ডেলের কাঠামো তৈরি তো কবেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে ব্যস্ত হাতে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। উমার আগমনের প্রস্তুতি গোটা রাজ্য জুড়েই। অন্যান্য পুজো উদ্যোক্তাদের মতোই ব্যস্ত টালা প্রত্যয়ের কর্মকর্তারা।  


শিউলি ফোটার পালা এখনও সেভাবে শুরু না হলেও, পুজোর বাজারের ব্যস্ততা কিন্তু তুঙ্গে। সকাল থেকেই ভিড় করেছেন পাড়ার লোকজন। ঢাকের আওয়াজ এলাকাজুড়ে। মা আসছেন যে।