সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর চার দিন কেটে গিয়েছে চারদিন। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়েই চলেছে নিষিদ্ধ বাজি! এবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য (TMC) আরশাদ হোসেনের বাড়ির অদূরে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও বাড়ির কাছে বাজি উদ্ধার নিয়ে তৃণমূল নেতার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


দত্তপুকুরের (Duttapukur) ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফের উদ্ধার হল বিপুল বেআইনি বাজি! জীবন বাজি রেখেই দত্তপুকুরে চলছিল বেআইনি বাজি তৈরির কারবার! রবিবার সকালে মোচপোল গ্রামে বেআইনি বাজির কারখানায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে ৯টি দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। গত কয়েকদিনে, ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেয়াবাদ , বেরুনানপুকুরিয়া, নারায়ণপুর, মোচপোল , কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি বাজি উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ টন নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কিছুতেই যেন শেষ হচ্ছে না বেআইনি বাজির ভাণ্ডার! এবার ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল সদস্য আরশাদ হোসেনের বাড়ির অদূরে, একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি!


সদ্য জয়ী তৃণমূল সদস্য আরশাদ হোসেনের বাড়ি, তার কাছেই এই জঙ্গলে, কে বা কারা এধরনের বাজি ফেলে দিয়ে গেছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি. প্রশ্ন উঠছে, কোথা থেকে এল এত পরিমাণ বাজি? কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেল এই বাজি? পুলিশের ধরপাকড় থেকে বাঁচতেই বাজি ফেলে পালাল অসাধু ব্যবসায়ীরা?


কে এই আরশাদ হোসেন? রবিবার বিস্ফোরণের পরপরই, দত্তপুকুরের মোচপোলের বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র ৬৫০ মিটার দূরে, বেরো নারায়ণপুরে এই পরিত্য়ক্ত ইটভাটার হদিশ পায় এবিপি আনন্দ। সেই পরিত্যক্ত ইটভাটারই মালিক ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আরশাদ হোসেন।  এবার তাঁর বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি!


তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির কাছে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার, যদিও এ বিষয়ে বারবার ফোন করা হলেও, তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য আরশাদ হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।                  


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে মারধরের অভিযোগ গোষ্ঠীরই অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে