সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর পরই ইস্তফা দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি। রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্তফা নিয়ে।
কী জানা গেল?
সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে ইতিমধ্যে সেই ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান বাসুদেব। তাঁর দাবি, নিতান্তই পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জে মানস ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। উল্টো দিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
প্রেক্ষাপট...
দেড়মাস ব্যাপী লোকসভা নির্বাচনের পর ফের ভোটের দামামা বেজে উঠেছে রাজ্যে। এখানে ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা এবং বাগদা-এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ( West Bengal Assembly By Election ) । উপনির্বাচন হবে রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা কেন্দ্রে। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণি অধিকারী, বাগদায় বিশ্বজিৎ দাস ইস্তফা দেওয়ায় এই কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে। বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে খালি হয়েছে মানিকতলা কেন্দ্রটি। উপ নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে আগামী ১৪ জুন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ জুন। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ১৩ জুলাই। প্রসঙ্গত, এর মধ্যে কৃ্ষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী, বিশ্বজিৎ দাস ইস্তফা দেওয়ায় তিনটি বিধানসভা আসনে ফের ভোট হচ্ছে। অন্য দিকে, সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর ২ বছরেরও বেশি পরে মানিকতলায় উপনির্বাচন। এবারের লোকসভা ভোটে সার্বিক ভাবে গোটা দেশেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপির জয়োরথের হাওয়া। এই রাজ্য়েও সবুজ ঝড়ের সামনে ফিকে লেগেছে বিজেপির পারফরম্যান্স। কেন্দ্রে সরকার গড়লেও একক জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। টিডিপি, জেডি(ইউ)-র মতো শরিক দলগুলির উপর ভরসা করে এগোতে হয়েছে তাদের। বস্তুত, এবার জোট রাজনীতির চাপ ভাল মতো টের পেয়েছেন মোদি-শাহ। এহেন পরিস্থিতিতে, বঙ্গের চার আসনে উপনির্বাচন। এমন রাজ্য যেখানে বিজেপির ফল নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে লোকসভা ভোটের ফলাফলের এবার উপনির্বাচনে ভাল ফল করতে মরিয়া থাকবে বিজেপি। তার আগে উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলার সভাপতির ইস্তফার ঘোষণা রাজ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে না তো?