সন্দীপ সরকার, অরিত্রিক ভট্টাচার্য, জয়ন্ত পাল: কলকাতা (Kolkata) ও উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) করোনা (Corona) পরিস্থিতি শোচনীয়। পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা বাদে এমন কয়েকটি জেলা আছে, যেখানে দৈনিক ১ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমণের কবলে পড়ছেন। এক্ষেত্রে বিধির কড়াকড়ি করে সংক্রমণের মোকাবিলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


সংক্রমণের কবলে বাংলা। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। তীব্র গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রের ডিস্ট্রিক্ট অফ কনসার্নের তালিকায় উঠে এসেছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার, সবার উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের দাপট। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক একদিনে হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমণের কবলে পড়ছেন। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদার পরিস্থিতি বেশ সঙ্গীন। বাদবাকি জেলাগুলিতেও গতি পেয়েছে সংক্রমণ। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা। চিকিৎসক দ্বৈপায়ন বিশ্বাস বলেন, “জেলায় যে সংক্রমণ দেখাচ্ছে যাচ্ছে, টিপ অফ দ্য আইসবার্গ, সবাই টেস্ট করাচ্ছেন, তার কোনও মানে নেই, থার্ড ওয়েভ সব জায়গায় একসঙ্গে এসেছে, জেলাতেও এসেছে, আগে টেস্ট কম হয়েছে, এখন একটু বেশি হচ্ছে, তাই পজিটিভ বেশি আসছে।’’


কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলায় সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে, অশনি সঙ্কেত হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের দৈনিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। এই প্রেক্ষাপটেই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সংক্রমণকে রুখতে গেলে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার মতো, সমস্ত জেলাতেই কড়াকড়ি করার প্রয়োজন। চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, “অন্যান্য জেলাগুলিকে কড়া ভাবে দেখতে হবে, তাই বলে কলকাতাতে ঢিল দেওয়া যাবে না, জেলা গুলোর সঙ্গে কলকাতার কানেকশন আছে।’’ সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও, সচেতনতা অভাব রয়েই গেছে। রবিবার সন্ধেয় সেই ছবিই ধরা পড়ল দমদমের দাগা কলোনিতে। অনেকে আড্ডায় ব্যস্ত। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। খবর পেতেই অভিযান চালায় দমদম থানার অন্তর্গত ঘুঘুডাঙা ফাঁড়ির পুলিশ। করোনা বিধি ভঙ্গের জন্য অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরও পড়ুন: Hooghly News: সন্ধের পর দুঃসাহসিক ডাকাতি ব্যান্ডেলে, ঘর ভাড়া দেখতে এসে সোনা-টাকা লুঠ, দম্পতিকে বেঁধে রেখে চম্পট