পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পুজো (Durga Puja) প্যান্ডেলে ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। মাইক ব্যবহার করলে রাখতে হবে শব্দ পরিমাপক যন্ত্র। পুজোর আগে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকের এরকম একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। পুজোর আগে কলকাতার সমস্ত রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality Corporation)।
চেনা ছন্দে: মাঝের দু-বছর কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনাসুর! এবার ফের চেনা ছন্দে ফিরছে কলকাতার দুর্গাপুজো (Durgapuja 2022)। তার ওপর UNESCO-র হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গোত্সব। সেই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। সব মিলিয়ে পুজো এবার অন্যরকম। আবার আগের মতোই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে কালো মাথার ভিড়, জ্যামজমাট ট্রাফিক, ঊর্ধ্বমুখী ভিড়োমিটার!
সমন্বয় বৈঠক কলকাতা পুলিশের: সেই কথা মাথায় রেখে, রবিবার কলকাতার পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করল কলকাতা পুলিশ। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা, কলকাতার পুরসভা, সিইএসসি, দমকল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৈঠকে পরিবেশ, ট্রাফিক-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, এবার পুজোয় কোনওরকম ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। জোরে মাইকও বাজানো যাবে না। মাইক ব্যবহার করলে রাখতে হবে শব্দ পরিমাপক যন্ত্র। সূত্রের খবর, ভিড়ের কথা চিন্তা করে ট্রাফিক নিয়ে উদ্বিগ্ন পুজো কমিটিগুলো। পুলিশ সূত্রে খবর, বেহালা ও টালিগঞ্জের ট্রাফিক সমস্যার কথা উল্লেখ করেন স্থানীয় পুজো কমিটির উদ্যোক্তরা। ওই সব এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে পুলিশের কাছে বিশেষ অনুরোধ করেচে তারা।
যুগ্ম কমিশনারের বয়ান: কলকাতা পুলিশের (সদর) যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিনহা সরকার জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে বৈঠক করলাম, আগের মতোই ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর আগেই শহরের সমস্ত রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পাশাপাশি, সমস্ত পুজো কমিটির জন্য থাকবে নোডাল অফিসার, যে কোনও সমস্যায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন পুজোর উদ্যোক্তরা।
রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান: উল্লেখ্য, এবার রাজ্য সরকারের (West Bengal) পুজো অনুদান বেড়ে হল ৬০ হাজার টাকা। ৪৩ হাজার পুজো কমিটি ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি।
পুজো উদ্যোক্তাদের রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর উপহার। গতবছরের ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে এবার যোগ হল, আরও ১০ হাজার টাকা! এ বছর রাজ্য সরকারের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা করে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ছেন, ৪৩ হাজার পুজো কমিটি এই অর্থ অনুদান পাবে। রাজ্য সরকার এই ঘোষণা করা মাত্র তাদের একহাত নিয়েছে সিপিএম। তাদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যেখানে দিতে পারছে না সরকার, যেখানে ঋণের বোঝা লাগাতার বেড়েই চলেছে, সেখানে শুধু রাজনৈতিক লাভের স্বার্থে অনুদানের ঘোষণা কেন?