সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: অবৈধ বালিকে (Illegal Sand) বৈধ (legal) করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিন জেলার ক্যারিং অর্ডার (CO)? খড়গপুরে বালি পাচারের (sand smuggle) গাড়ি থেকে ভিন জেলার সিও উদ্ধারের পর মাথাচাড়া দিয়েছে এই সন্দেহ। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) জেলাশাসক (DM)। পুলিশ-তৃণমূল আঁতাঁতেই অবৈধ বালি খাদানের রমরমা বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল।


কী ঘটেছিল?
বালি পাচার রুখতে স্পিডবোট নিয়ে কংসাবতী নদীতে এঁফোড় ওফোঁড় করে তল্লাশি চালায় পুলিশ!এমনকি নদীর জলের নীচে বালি তোলার যন্ত্র লুকনো আছে কিনা, তা দেখতে নামানো হয়েছিল ডুবুরি। সোমবার থেকে এভাবেই দফায় দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে অভিযান চালাল জেলা প্রশাসন। বাজেয়াপ্ত করা হয় একের পর এক বালি তোলার যন্ত্র। কিন্তু বালি পাচার রুখতে প্রশাসনের এই অভিযানের মধ্যেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। ভিন জেলার ক্যারিং অর্ডার বা CO হাতিয়ে বালি পাচারকে বৈধ দেখানোর চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। তাই অভিযানের পাশাপাশি প্রশাসনের নজরে এখন অবৈধ সিও বা ক্যারিং অর্ডার। তার তদন্তেও নামল প্রশাসন।

ক্যারিং অর্ডার কী?
বৈধ বালি খাদান থেকে রাজস্ব আদায়ের পর যে চালান দেওয়া হয়, তাকে বলা হয় ক্যারিং অর্ডার। জেলা প্রশাসনের একাংশের অনুমান, বেআইনি বালি খাদান থেকে তোলা অবৈধ বালিকে বৈধ দেখাতে অন্য জেলার  ক্যারিং অর্ডার ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। অর্থাত্‍ পাচারকারীদের কাছে, ক্যারিং অর্ডার রয়েছে এক জেলার। কিন্তু অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে অন্য জেলার অবৈধ খাদান থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানির দাবি, 'লোডেড গাড়ি রেডের সময় ধরা পড়েছিল। এগুলির ক্যারিং অর্ডার ঝাড়গ্রামের বালি খাদানের ছিল। একঘণ্টার মধ্যে ঝাড়গ্রাম থেকে কীভাবে মেদিনীপুরে চলে এল গাড়িগুলো, তদন্ত করতে বলা হয়েছে।'  বিজেপির অবশ্য় অভিযোগ, গোটাটার নেপথ্য়েই রয়েছে পুলিশ-তৃণমূল আঁতাত। শাসকশিবিরের পাল্টা দাবি, এটা বিজেপির অপপ্রচার। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া ইনচার্জ দেবাশিস ভুঁইয়া বলেন, 'এটা আন্তর্জেলা পাচার চক্র। তৃণমূলের বড় বড় নেতা ও পুলিশের যোগসাজশেই হচ্ছে।' এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, 'অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে প্রশাসন টানা অভিযান চালাচ্ছে। বিজেপির কোনও অ্যাজেন্ডা নেই বলে অপপ্রচার করছে।'


আরও পড়ুন:গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার, মেরামতি করতে তড়িঘড়ি তৎপর পুরসভা!