করুণাময় সিংহ, মালদা: বোমা (bomb) বিস্ফোরণে (Explosion) কেঁপে উঠল মালদার (Malda) মানিকতচক। জখম হল দুই শিশুও (kids)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বোমাগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়েছিল তারা। তাতেই বিপত্তি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছল মানিকচক থানার পুলিশ (police)। কাঁকিনাড়া, নরেন্দ্রপুর, মিনাখাঁ, কুলপির পর এবার মানিকচকের এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা। 



কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শিশুদুটি বাগানে খেলতে গিয়েছিল। সেই সময় বল ভেবে একটি বোমা কুড়িয়ে নিয়ে আসে। বাড়ির মহিলাদের দেখায় সেগুলি। বস্তুটি কী বুঝতে না পেরে সেগুলি বাইরে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। শিশুদুটি বোমা বাইরে ফেললে বিস্ফোরণ হয়। তাতেই আহত দুই শিশু। আপাতত মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। একজনের আঘাত গুরুতর। প্রসঙ্গত, বোমা ও বিস্ফোরণ ঘিরে বার বার উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে একাধিক বার রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছিল এই বালুটোলা গ্রামে। বোমা বাধতে গিয়েও অনেকের প্রাণ যায় বলে খবর। কিন্তু কোথা থেকে এল এই বোমা? কারা আনল, কীসের জন্য? তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। বার বার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এদিনই আবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির ছামনাবনি গ্রামে ফের বোমার হদিশ মেলে। 


কী ঘটেছে কুলপিতে?
৫ দিনে ৩ বার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির ছামনাবনি গ্রামে ফের বোমার হদিশ। গ্রামের মাঠে খড়ের গাদার মধ্যে নাইলনের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা ছিল বোমাগুলি। আজ সকালে গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান। কুলপি থানার পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে। গত বৃহস্পতিবার ছামনাবনি গ্রামে কৌটো বোমা ফেটে জখম হয় ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোর। এর তিনদিনের মাথায়, রবিবার গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় ২৫টি তাজা বোমা। ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কুলপির ওই গ্রামে বোমার হদিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বাড়ছে আতঙ্ক। গতকাল রাতে আবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকার মোড়গ্রামের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি। ধৃত তাবারুক শেখ লালগোলার বাসিন্দা। কোথা থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর পর এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে প্রশাসন। 


আরও পড়ুন:গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার, মেরামতি করতে তড়িঘড়ি তৎপর পুরসভা!