কলকাতা: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ডাক্তারদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। প্রতীকী তালা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান ডাক্তারদের একাধিক সংগঠনের। পুলিশ আটকালে ধস্তাধস্তি। CBI-এর উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি ডাক্তারদের। এভাবে চললে CBI দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।  (RG Kar Protests)

Continues below advertisement

বুধবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে নামে ডাক্তারদের একাধিক সংগঠনের। সিজিও কমপ্লেক্সের ফটকে প্রতীকী তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই তালা পুলিশ খুলে দিলেই ধুন্ধুমার বাধে। ফের প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেন ডাক্তারদের, যাতে লেখা ছিল, 'CBI অভয়ার সঠিক বিচার দাও, নইলে তালা ঝুলিয়ে বাড়ি যাও'। কলকাতা পুলিশ এবং CBI 'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই' বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। (Doctors Rally)

এদিনের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে শামিল ছিল ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন। পুলিশকে ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ডাক্তাররা। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধুন্ধুমার। ডাক্তারদের অভিযোগ, CBI খুনিদের রক্ষা করছে, আর CBI-কে রক্ষা করছে কলকাতা পুলিশ। কেন খুনিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছে না।

Continues below advertisement

এবিপা আনন্দে ডাক্তাররা বলেন, "কেন খুনিদের ছেড়ে দিচ্ছে, প্রশ্ন নিয়ে এসেছিলাম আমরা। কিন্তু ডাক্তার এবং সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।" আর একজন ডাক্তার বলেন, "আমাদের বোন অভয়াকে খুন করেছে কলকাতা পুলিশ। তাদের শাগরেদ হয়ে CBI বিষয়টি গোপন করছে। আজ অভয়ার বিচার দিচ্ছে না। আমরা অপদার্থ, দুর্নীতিগ্রস্ত CBI-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এলে আমাদের মহিলা ডাক্তার, নার্সদের আক্রমণ করা হচ্ছে। এই CBI চাই না আমরা।"

সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এদিন ব্যারিকেড ছিল। তালা ঝুলছিল ফটকে। সামনে মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঠেলে আন্দোলনকারীরা ভিতরে ঢুকতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রাস্তার উপর বসেও পড়েন আন্দোলনকারীদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, ঘটনাটি কোথায় ঘটেছিল, আমরাও প্রশ্ন তুলেছিলাম। CBI-এর সবদিকে তল্লাশি চালানো বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে CBI যদি হস্তক্ষেপ না করে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থা বাড়বে বলে মত তাঁদের। CBI-এর বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

CBI-এর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার বাবাও। এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, "CBI বলেছিল, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে। কিন্তু আদালতেই বলেছিল। আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। আমরা বিচার ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আন্দোলন এবং আদালতই ভরসা আমাদের। CBI-এর উপর ভরসা না রপেখে যাব কোথায়? আমরা যে ৪২টি প্রশ্ন তুলেছি, তার তদন্ত হোক।"