Maharashtra: ৪৫ বছর বয়সী এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর ২৮ বছর বয়সী স্ত্রীকে। কোম্পানির বসের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি আর তা না মানতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। মহারাষ্ট্রের কল্যাণ এলাকায় (Triple Talaq) একটি পার্টিতে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ হতে বলেন সেই ব্যক্তি আর তাতেই গোলযোগ বাধে এবং তার পরিণতি তিন তালাক। এমনকী জানা যাচ্ছে সেই মহিলার কাছ (Maharashtra News) থেকে ব্যক্তি ১৫ লক্ষ টাকাও দাবি করেছিলেন এর আগে তাঁর পূর্বতন স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য।


মহারাষ্ট্রের বাজারপেট থানায় সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন ধারার অধীনে। ২০১৯ সাল থেকে তিন তালাক দেওয়া একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতীয় আইনে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সেই বেঙ্গালুরুর এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ করেন। এমনকী এই নববিবাহিত স্ত্রী জানতেনও না যে ব্যক্তির আগে একটি বিবাহ সম্পর্ক ছিল।


১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন ব্যক্তি


বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে সেই ব্যক্তি বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ব্যক্তিটি তাঁর স্ত্রীকে জানান যে তাঁকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে খোরপোশ হিসেবে এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকেই সেই টাকা দিতে হবে। তারপরেই সেই ব্যক্তিটি তাঁকে বলেন যে একটি অফিস পার্টিতে কোম্পানির বসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে হবে তাঁকে। তর্ক শুরু হয়ে যায় এই কথাতেই, স্ত্রী কিছুতেই এই অশালীন প্রস্তাবে রাজি হন না। আর রাগের মাথায় সেই ব্যক্তি তাঁকে মারতে শুরু করেন, তাঁকে তিন তালাক দেন এবং জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন তাঁকে।


যখন সেই মহিলা আবার তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন, তিনি ১৯ ডিসেম্বর ছত্রপতি শম্ভাজী নগরের জিনসি থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যেহেতু এই অপরাধ ঘটেছে কল্যাণ শহরে, ফলে ২০ ডিসেম্বর এই মামলা স্থানান্তরিত হয় বাজারপেট থানায়। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত।   


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Viral Video: মিড ডে মিলের ডিম চুরি করছেন খোদ প্রধানশিক্ষক ! ভিডিয়োয় ধরা পড়তেই তোলপাড়