ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড় মঠে (Belur Math)  দোল উত্সব পালন করা হচ্ছে৷ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের (Sri Sri ram krishna) মন্দিরে মঙ্গলারতির পর অনুষ্ঠানের সূচনা। সন্ন্যাসী মহারাজরা ঢোল-করতাল বাজিয়ে আবির নিয়ে ঊষা কীর্তন গেয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ করেন। সবশেষে মিষ্টিমুখ। করোনা আবহে এবারও দোল উত্সবে বেলুড় মঠে ভক্ত ও সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। শুধুমাত্র স্থানীয় কয়েকজন দোল উত্সবে (Dol Purnima 2022) যোগ দেন।  


কৃষ্ণপ্রেমে দোলযাত্রা পালিত হচ্ছে মায়াপুরের (Mayapur) ইসকন মন্দিরে (Iskcon Temple)। সকাল থেকে ভক্তদের ভিড়৷ করোনা ও যুদ্ধের কারণে এবার বিদেশি ভক্তের সংখ্যা কম। এদিন ভোরে মঙ্গলারতির মধ্যে দিয়ে মায়াপুরে দোলযাত্রার সূচনা হয়৷ তবে এখানে দোল খেলা হয় না৷ সারাদিন ধরে রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান৷ চলছে নাম সংকীর্তন। শ্রীচৈতন্যদেবের ৫৩৬ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে আজ সন্ধেয় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে৷ বিকেলে অভিষেকের মাধ্যমে আবির্ভাব উত্সবের পরিসমাপ্তি হবে। 


রঙের উত্সবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। জেলায় জেলায় দোলের উত্সব পালনের ছবি। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ছবি সামনে রেখে দোল উৎসব পালন করলেন আসানসোলের কল্যাণপুর স্যাটেলাইট টাউনশিপের বাসিন্দারা। শোভাযাত্রা, নাচ-গানের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে দোল উৎসব পালন করলেন আসানসোল গ্রামের বাসিন্দারাও। ঢাক বাজিয়ে নাচের তালে বর্ণময় অনুষ্ঠান।


আরও পড়ুন: Sonajhuri Basanta Utsav: সোনাঝুরিতে বসন্ত বরণ, আবিরে রাঙা খোয়াই-পাড়


হাওড়ার ঘুসুড়ির শ্রীশ্যাম মন্দিরে উঠে এসেছে একটুকরো বৃন্দাবন। এখানে ব্রজধামের ধাঁচে দোল খেলা হয়। ২ বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর রঙের উত্সবে মেতেছেন হাওড়াবাসী। 


অন্যদিকে মহিষাদল প্রেস কর্নারের উদ্যোগে মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে বসন্তোত্সবের আয়োজন করা হয়। এবার ১৩ বছরে পা দিল এই উত্সব। প্রভাতফেরির মাধ্যমে এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৩টি সাংস্কৃতিক দল এই বসন্তোত্সবে যোগ দিয়েছে।