সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: কলকাতার (Kolkata) ইসকন মন্দিরে (Iskcon) শ্রীচৈতন্যদেবের (Sri Chaitanya Mahaprabhu) পুণ্য আবির্ভাব তিথি পালিত হচ্ছে। ইসকনের বিভিন্ন মন্দিরে দিনভর চলবে নাম সংকীর্তন।
কলকাতার পাশাপাশি মায়াপুরের (Mayapur) ইসকন মন্দিরে চলছে দোল পূর্ণিমা। ইসকনের গেটের বাইরে রাস্তায় শুয়ে ছিলেন ভক্তরা। সবার অপেক্ষা কখন খুলবে মন্দিরের গেট। মঙ্গলবার গেট খুলতেই হরে রাম, হরে কৃষ্ণ ধ্বনিতে ভরে উঠল মন্দির চত্বর। দোল (Dol) উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
সমস্ত পরিক্রমা একত্রিত হয়ে মিলিত হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (Mayapur ISKCON Temple)। এই বছর প্রায় ১০০টি দেশের ৫ হাজার বিদেশিভক্ত সহ হাজার হাজার দেশীয় ভক্তের সমাগম ঘটেছে গৌড় পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষে।
অন্যদিকে, চিরাচরিত রীতি মেনে আজ বেলুড় মঠেও দোল উৎসব পালন করা হচ্ছে। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে মঙ্গলারতির পর অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শ্রীচৈতন্যদেবের প্রতিকৃতির পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করে মঠের সন্ন্যাসী, মহারাজ এবং উপস্থিত ভক্তরা নিজেদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। তারপর খোল-করতাল বাজিয়ে, মঠ প্রদক্ষিণ করেন। সবশেষে মিষ্টিমুখ।
বেহালা বকুলতলায় নূপুর নিক্কন ডান্স স্কুলের তরফে বসন্তোৎসব পালিত হল। বাসুদেবপুর এলাকায় প্রভাত ফেরিতে অংশ নেয় কচিকাঁচারা।
বাঘাযতীন বিবেকানন্দ মিলন সঙ্ঘের উদ্যোগে বাযাযতীনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও প্রভার ফেরির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি, গরমের দিনে জলসঙ্কটের কথা মাথায় রেখে, জল অপচয় না করার বার্তা দিলেন ক্লাব সদস্যরা।
কলকাতার বুকে একটুকরো শান্তিনিকেতন। গলফ গ্রিনের সেন্ট্রাল পার্কে পালিত হল বসন্তোৎসব। নাচে-গানে রঙের উৎসবে মেতে উঠল কচিকাঁচারা।