সুনীত হালদার, হাওড়া: এবারের দোলে (Dolyatra 2024) সাধারণ আবিরের চেয়ে ভেষজ আবিরের চাহিদা বেশি। দোলের আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে ৮ থেকে ৮০ সবাই ভিড় করছেন রংয়ের দোকানে। হাওড়ায় দেদার বিক্রি হচ্ছে রং। 


হাওড়া শহর এলাকায় বড় বড় বাজারের সামনে স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকানগুলিতে জমে উঠেছে হোলির কেনাকাটা। উত্তর হাওড়ার সালকিয়া হরগঞ্জ বাজার, মধ্য হাওড়ার কালিবাবুর বাজার, কদমতলা বাজার, জি টি রোড সন্ধ্যাবাজার বা শিবপুর এলাকায় একই ছবি চোখে পড়বে। দোল বা হোলি উপলক্ষ্যে বিক্রেতারা রংয়ের পাশাপাশি হরেকরকম আইটেম সাজিয়ে বসেছেন।  ক্রেতারা জানিয়েছেন পকেটের পয়সা একটু বেশি খরচ হলেও তারা স্বাস্থ্যের কারণে ভেষজ রং এবং আবীর তাদের প্রথম পছন্দ।


সোমবার দোল। তার আগে হাওড়া শহর জুড়ে জমে উঠেছে দোলের কেনাকাটা। গত এক সপ্তাহ জুড়ে হাওড়া শহর এলাকার বেশ কয়েকটি বড় বাজারের সামনে বিক্রেতারা রংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। রাসায়নিক রং এবং আবিরের পাশাপাশি ভেষজ রং এবং আবির বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে রঙিন চুল, নানা ধরণের ভুতের মুখোশ, পিচকারী এবং রঙিন টুপি রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে।


তবে বেশিরভাগ ক্রেতারা জানিয়েছেন রাসায়নিক রং ব্যবহার করলে তাদের চর্ম রোগের সম্ভাবনা আছে। শরীর থেকে রং মুছতেও অনেক সময় লাগে। তাই স্বাস্থ্যের কারণে এবারে তারা ভেষজ রং এবং আবির বেশি কিনছেন। বিপ্লব ভট্টাচার্য নামে সাঁকরাইলের চুনাভাটি এলাকায় এক রং বিক্রেতা বলেন, 'গত ১২ বছর ধরে বাড়তি লাভের আশায় দোলের সময় রঙের ব্যবসা করি। ১২ রকমের আবির বিক্রি করছি। তবে এবারে ভেষজ রং বা আবিরের চাহিদা বেশি। ক্রেতারা একটু বেশি দাম দিয়ে ভেষজ আবীর কিনছেন। এর পেছনে স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকতে পারে।'


আরও পড়ুন, ছেড়ে দেন ইসরোর অফার, গেট পরীক্ষায় প্রথম বর্ধমানের ছেলে 


এক ক্রেতা জানালেন, 'বছরের এক দিনই দোল খেলি। কিন্তু রাসায়নিক রং থেকে যদি চুলকানি বা অন্য ধরণের চর্মরোগ হয় তাতে বিপদের সম্ভাবনা আছে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মত ভেষজ রং কিনেছি।' কারণ যাই হোক না কেন এটাই সত্যি বাঙালি বসন্তকে মনে প্রাণে উপভোগ করতে রঙের উৎসবে মেতে ওঠে। বাড়ি বাড়ি দোল খেলার পাশাপাশি স্থানীয় ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকেও দোল খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই রবি ঠাকুরের গানের সঙ্গে ভেষজ আবীর ছড়িয়ে মন রাঙিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।