কলকাতা: দোলের দিন রং খেলার উৎসবে সকলেই যোগ দেন। আট থেকে আশি সকলেই রং খেলার উৎসবে মেতে ওঠেন। স্বাভাবিকভাবেই দোলের সময় বাচ্চাদের উন্মাদনা অনেক বেশি থাকে। আবির খেলা ছাড়াও নানান রকম রং খেলায় শিশুদের উৎসাহ বেশি থাকে। তাদের খেলতে দেখাও যায়। তবে এই রং থেকে তাদের শারীরিক বেশ কিছু ক্ষতি হতে পারে। অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
রংয়ের মধ্যে থাকে ভারী ধাতু বা হেভি মেটাল
রংয়ের মধ্যে ভারী ধাতু বা হেভি মেটাল থাকে। যা শিশুদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এটি বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে —
- ত্বকের জ্বালা বা প্রদাহ স্কিন ইরিটেশন।
- এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন চর্মরোগ
- অ্যালার্জি
- চোখের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা
- ফুসফুসের নানা সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও সিওপিডি।
বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হসপিটাল এর পালমোনোলজিস্ট চিকিৎসক রমেশ বি আর সংবাদ মাধ্যম আইএএনএসকে জানাচ্ছেন, বাজার চলতি কৃত্রিম রঙের মধ্যে প্রায়ই ক্ষতিকর ধাতু যেমন পারদ সিসা ক্রোমিয়াম ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি মেশানো হয়। এই প্রতিটি উপাদানই অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, সিওপিডির কারণ হতে পারে। চিকিৎসক রমেশের কথায়, রঙের ক্রোমিয়াম নাকে চলে গেলে তা থেকে ব্রংকাইটিস ও অ্যাজমা হতে পারে। পারদ শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে শরীরের ভেতরকার বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনির উপরেও এর প্রভাব রয়েছে।
গর্ভস্থ ভ্রুণের বিপদ
শুধু যে বাচ্চাদের সমস্যা হয় তাই না। গর্ভস্থ ভ্রূণেরও সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এই উপাদানগুলি কোনভাবে চলে গেলে তা ভ্রুণকে প্রভাবিত করে। জন্মের পর তাদের শরীরে সেই প্রভাব থেকে যায়।
রঙের বিপদ থেকে শিশুদের বাঁচানোর জন্য কি করণীয় ?
প্রাকৃতিক ও ভেষজ রং - প্রথমেই শিশুদের রঙের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচাতে হলে প্রাকৃতিক ও ভেষজ রং বেছে নিতে হবে। এই ধরনের রঙে ভারি ধাতু বা হেভি মেটাল থাকে না। এছাড়া অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ অনুপস্থিত তার ফলে শিশু অ্যালার্জি, অ্যাজমার মতো সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম।
সতর্ক পাহারা - দোলের দিন শিশুর উপর সতর্ক পাহারা থাকা প্রয়োজন। যাতে খুব বেশি বাইরের রং কৃত্রিম রং তার গায়ে না লাগে। এমনকি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যাতে থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
হাইড্রেটেড রাখা - রং খেলতে খেলতে শিশুরা ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেটা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ - শিশুর কোনও কারণে শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Holi 2024: দোলের রঙের মতোই উজ্জ্বল হোক জীবন, প্রিয়জনদের এই দিন পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা