হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে চন্দ্রমুখী আলুর দাম
সর্ষের তেল ডাবল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। এই পরিস্থিতিতে শাক-সব্জি থেকে মাছ মাংস, সবেরই দাম ক্রমশ বাড়ছে। ভাতের সঙ্গে যে একটু আলু-সেদ্ধ করে খাবেন, তারও কার্যত আর উপায় নেই! কলকাতার বাজারগুলিতে জ্যোতি আলুর দাম বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ৩০ টাকা কেজিতে! আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম তো হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে!
বাঁশদ্রোণীর গৃহবধূ পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী বেসরকারি বিমা সংস্থার কর্মী। একমাত্র মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াচ্ছেন । দৈনন্দিন খরচের বহর যেভাবে বাড়ছে, তাতে রীতিমতো চাপে চট্টোপাধ্যায় দম্পতি।তিনিবলেন, ' দু’বেলার রান্না একবেলায় করে নিচ্ছি, কোনওভাবে সামাল দিচ্ছি, প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে? আলু-সেদ্ধ ভাত খেয়ে যে কাটাবো, আলুর দামও যেভাবে বেড়েছে, তাতে রীতিমতো সমস্যায় আমরা '
'ইন্ডাকশনে যে করব সেটা কতক্ষণ চালাব !'
চেতলা রোডের বাসিন্দা সোমা দে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা । স্বামীও চাকরি করেন। বাস্তবিকই ডবল ইঞ্জিন! কিন্তু, ফ্ল্যাটের EMI, ছেলের স্কুলে পড়ার খরচ-সহ দৈনন্দিন খরচ যেভাবে বাড়ছে । তাতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়! স্কুল শিক্ষিকা সোমার চিন্তা, ' আমাদেরও যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আরও সাধারণ মানুষের কী অবস্থা! যাদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল গ্যাসে, তাদের কী অবস্থা আমার জানতে ইচ্ছে করে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেরও তো দাম বেড়েছে, আমরা অন্য দিনে ডাল-ভাত খেয়ে বেরিয়ে যাই, রবিবার ভাল রান্না করার ব্যাপার থাকে, সেটাও এখন ভাবতে হচ্ছে, ইন্ডাকশনে যে করব সেটা কতক্ষণ চালাব ! '
হিন্দিতে একটা কথা আছে - আমদানি আঠান্নি, খরচা রুপাইয়া! অর্থাৎ আট আনা আয়, তায় খরচ হচ্ছে টাকায়! পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় এখন সাধারণ মানুষের অবস্থা ঠিক তেমনই!