কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আইন বহির্ভূতভাবে সরকারী রেশন সামগ্রী মজুত করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতার থানার কুবাজপুরে। ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ সালাম। অভিযুক্তের বাড়ি ভাতার থানারই বিজয়পুর গ্রামে।


বিপুল পরিমাণ সরকারী রেশন মজুত-


জানা গিয়েছে, সরকারী রেশন সামগ্রী আইন বহির্ভূতভাবে মজুত করা হচ্ছিল এমন খবর আসে ভাতার থানার পুলিশের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাতারের কুবাজপুর মোড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃত শেখ সালামের তিনটি গোডাউন থেকে ৮৬ বস্তা চাল, ৫৬ বস্তা গম, ৫০ কেজি ওজনের ১১৫ প্যাকেট আটা, ১ কেজি ওজনের ১৭১৯ প্যাকেট আটা এবং ৩৪২৫টি খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ভাতার থানার পক্ষ থেকে ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। কেন এই বিপুল পরিমাণে রেশন সামগ্রী মজুত করা হচ্ছিল, সে সম্পর্কে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি কোথা থেকে এই পরিমাণ রেশন সামগ্রী ধৃত ব্যক্তি পেয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন - Burdwan: শক্তিগড়ে মিষ্টিহাব প্রকল্প নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর


অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে শনিবার ৫৩৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার দেওয়া যায়নি, দাবি শিক্ষিকাদের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও  অন্তঃসত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে খাবার দেওয়া হয়নি। এতে সমস্যায় পড়েছেন অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুরা। এদিন খাবারের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েও ফিরে আসতে হয়। দেখা যায় কেন্দ্রে নোটিস টাঙানো রয়েছে যেখানে লেখা খাবার দেওয়া হবে না। জামালপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাদের দাবি, গত দু’মাস ধরে তাঁরা খাবারের টাকা পাচ্ছেন না। ফলে কিনতে পারছেন না সবজি, ডিম, রান্নার জ্বালানি। এতদিন ধার করে বা নিজেদের বেতন থেকে খরচ চালিয়েছেন। আর পারছেন না।