সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার (Dengue Malaria Attack) জোড়া থাবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College Boy's Hostel) কর্মী আবাসনে। আবাসনের ৩টি ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ২০, খবর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। কয়েকজনের আবার একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া দুটোই হয়েছে। আক্রান্তদের কয়েকজন ভর্তি ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। মেডিক্যাল হাসপাতাল লাগোয়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলেও হানা দিয়েছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া। ৪ জন পড়ুয়া আক্রান্ত বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। চলতি মরশুমে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।


মৃত্যু বাড়ছে...
ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার দাপট যে উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে, সে কথা এখন আর অজানা নয়। গত কাল, রবিবারই যেমন দমদম থানার এক পুলিশকর্মীর প্রাণ যায়। তার নাম প্রীতম ভৌমিক। তিনি দক্ষিণ দমদম (South DumDum) পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, জ্বরে ভুগছিলেন পুলিশ কর্মী প্রীতম ভৌমিক। গত শুক্রবার নাগেরবাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই গতকাল মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি হেমারেজিকের উল্লেখ রয়েছে। বছর ৩৪-এর প্রীতম দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনিবাস রোডের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বরে ভুগছিলেন অস্থায়ী পুলিশ কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র ডেঙ্গি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। অসুস্থতার ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। শনিবার মৃত্যু হয়েছিল দমদমের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত কিশোরীর। বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি ছিল দমদম মতিঝিলের বাসিন্দা মধু সিংহ নামে ওই কিশোরী। প্রথমে দমদমের পুর হাসপাতাল, তারপর কলেজস্ট্রিটের একটি হাসপাতাল, তারপর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই মারা যায় বছর ষোলোর ওই কিশোরী। এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিকে কলকাতার এক মহিলার মৃত্যু হয় ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমিত হয়ে। তিনি ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ আলিপুর সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কয়েকটি হাসপাতাল-নার্সিংহোম ঘুরে তাঁর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি, ডেঙ্গি প্রাণ কাড়ে চন্দননগরের এক বছর একুশের তরুণের।